নুরুল আলম সিকদার স্টাফ রিপোর্টার কক্সবাজার
৩১/১০/২০২৪ ১২:১৬
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আশুলিয়ায় ৪৬ মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাভারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাবেক) শহীদুল ইসলামকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।পুলিশি নিরাপত্তায় সাভারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাবেক) শহীদুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ছবিটি সংগৃহীত
পুলিশি নিরাপত্তায় সাভারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাবেক) শহীদুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ছ
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে পুলিশি নিরাপত্তায় তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনালে তাকে উঠানো হবে।
বুধবার রাতে তাকে ঢাকার বাইরে থেকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানায় নিয়ে আসা হয়। শাহবাগ থানা পুলিশ সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির করেছে।
এর আগে ২৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্ট গণহত্যার অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ১৭ সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে তাদের হাজিরের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।
এদিকে একই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড আশুলিয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজই তাকে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে হাজির করার কথা রয়েছে।
বুধবার রাতে তাকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করে ঢাকায় আনা হয়। তার বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। বর্তমানে সায়েদকে শাহবাগ থানায় রাখা হয়েছে।
গ্রেফতার আতঙ্কে এতদিন গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন পুলিশের এ কর্মকর্তা। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। আশুলিয়ার এ ঘটনায় নিজের দায় এড়াতে বিভিন্ন কৌশল ও ছলনার আশ্রয় নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি তার।
খোদ পুলিশের একটি সূত্র জানায়, নিজেকে আড়াল করতে নানা কৌশল খাটিয়েও শেষ রক্ষা না হওয়ায় যে কোনো মুহূর্তে অবৈধ পথে দেশত্যাগের পরিকল্পনা করেন সায়েদ। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ইমিগ্রেশনসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে তার বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়। এরই জেরে গতকাল রাতে কক্সবাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।