এ কে আজাদ সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি: ||
সিলেটের গোয়াইনঘাটে গরুর ব্যবসার কথা বলে এক প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রবাসীর স্ত্রী ভুক্তভোগী শিল্পী বেগম গোয়াইনঘাট উপজেলার ২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী আবুল কালামের স্ত্রী। এ ঘটনায় সিলেটের আমলী আদালতে ৩ জনকে আসামী করে তিনি গত বছর সিআর মামলা দায়ের করেন। মামলা নং: ৩৮৪/২০২৪ ইং।
মামলার আসামীরা হলেন একই ইউনিয়নের পান্তমাই গ্রামের ছিদ্দেক আলীর ছেলে রাজা মিয়া,নিজাম উদ্দিনের ছেলে রুবেল আহমদ,ও আলা উদ্দিনের ছেলে লোকমান মিয়া।
মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়াইনঘাট থানার এসআই তরিকুল মামলার এজাহার ভূক্ত ১নং ও ২নং আসামীকে বাদ দিয়ে শুধু ৩নং আসামীকে অভিযুক্ত করে আদালতে গত ০৬/০৫/২০২৫ইং তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করেন। উক্ত তদন্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট)’র বিরুদ্ধে বাদীনি শিল্পী বেগম গত ২০/০৫/২০২৫ইং আদালতে নারাজী দরখাস্ত প্রদান করেন।
দরখাস্তে তিনি উল্লেখ করেন, গরু ব্যবসার জন্য তিনি তার নামীয় পূবালী ব্যাংক লিমিটেড গোয়াইনঘাট শাখার সঞ্চয়ী হিসাব নং: ১২৫০১০১০৭৩৮৬৫ এর ১টি ১০ (দশ) লক্ষ টাকার চেক ১নং আসামী রাজা মিয়াকে আরও ১টি ৪ (চার) লক্ষ টাকার চেক ২নং আসামী রুবেল মিয়াকে প্রদান করেন। এ দু’জনই মুল অভিযুক্ত ও এজাহার নামীয় ১ ও ২ নং আসামী। অথচ তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তরিকুল এ দুই আসামীর কাছ থেকে মোটা অংকের আর্থিক ফায়দা হাসিলের মাধ্যমে তাদেরকে তদন্ত প্রতিবেদন থেকে বাদ দিয়ে আদালতে মনগড়া প্রতিবেদন প্রদান করেন।
শিল্পী বেগমের দাবি পূনরায় মামলার সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে তদন্তকারী অফিসার এস.আই তরিকুল এর সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করলে উনি বলেন এটা তদন্তের বিষয় বাদী যে কারো উপর মামলা করতে পারে,আমি তদন্ত করে
১ ও ২ নং আসামির উপর অভিযোগের সত্যতা পাইনি
যা পেয়েছি তা দিয়ে আমি প্রতিবেদন প্রদান করেছি বিজ্ঞ আদালতে।