এ কে আজাদ: সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি:||
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী
ইউনিয়ন ২নংপশ্চিম জাফলং এর মেঘালয়ের পাদদেশে ভারতীয় সীমান্তের পাশেই পিয়াইন নদীতে ইজারা বহির্ভূত জায়গা থেকে অবাদেই চলছে বালু লুটের মহাউৎসব
রাতদিন মরন ঘাতী যানবাহন ট্রাক্টর দিয়ে হাজার হাজার গাড়ি বালু চলে যাচ্চে সোনারহাট টু মাতুরতল ও পান্তুমাই রাস্তা হয়ে মাতুরতল বাজারের আশেপাশে স্তুপ করে রাখা হচ্ছে । পরে এখান থেকে হাইড্রোলিক ট্রাকে করে আহারকান্দি বাজার গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজ রোড হয়ে যাইতেছে উপজেলার গোয়াইন নদীর পারে,
ওইখানে গিয়ে নদীতে বল গেইট বুঝাই করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাচ্চে এই বালু।
বালু লুটের সাথে জড়িত রয়েছে স্তানীয় বিএনপির অনেক নেতাকর্মী
নাম বলতে অনিচ্ছুক স্তানীয় বাসিন্দাদের দাবি ইজারা বহির্ভূত জায়গা থেকে বালু উত্তলন এর ফলে মানুষের ঘর বাড়ি ধংস হতে পারে রাতদিন অবাদে ট্রাক্টর চলাচলের ফলে স্কুল মসজিদ
মাদরাসা ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়ছে, এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকাও নিরব রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
সাথে সীমান্তের অতন্ত্র প্রহরীর দায়িত্বে থাকা বিজিবি ও জড়িত রয়েছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়
৪৮ বিজিবি সোনারহাট ক্যাম্প ও পান্তুমাই বিওপির লাইনম্যান প্রতি গাড়ি ট্রাক্টর থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করতেছেন।
বিজিবির লাইনম্যান হিসেবে চাদা উত্তলন করছেন ইসলামাবাদ গ্রামের বদরুল. ভাদেশ্বর গ্রামের আব্দুল লতিফ পান্তুমাই গ্রামের খায়ের বশর।
এদিকে ২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের মাতুরতল বাজারে গিয়ে দেখা যায় স্থানীয় বিএনপি'র অঙ্গসংগঠনের কিছু নেতাকর্মীদের ইশারায় ইউনিয়ন টেক্সের নামে রাজনগর গ্রামের সারজুল নামে এক ব্যক্তি বালুবাহী প্রতি গাড়ি থেকে ২০০ টাকা করে অবৈধ ভাবে চাদা কালেকশন করছেন।
এ চাঁদা উত্তোলনের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুন পারভেজের মুঠো ফোনে কল দিয়ে ইউনিয়ন ট্যাক্স এর কথা জিজ্ঞেস করলে
উনি বলেন গাড়ি থেকে ইউনিয়ন ট্যাক্স তোলা
সম্পূর্ণ অবৈধ এখানে একটি চক্র ইউনিয়ন ট্যাক্স এর নামে চাঁদাবাজি করতেছেন বিষয়টি আমি
ইউওনো স্যার কে জানিয়েছি উনি ব্যবস্থা নিবেনং
এ কথা বলে ফোন কেটে দেন।
সীমান্তবর্তী এলাকাবাসীর দাবী অতিসত্বর এই বালু উত্তলন ও অবৈধ ট্রাক্টর বন্দ করবে বলে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তারা আশাবাদী
সোনারহাট ক্যাম্প কমন্ডারের সাথে স্বরজমিনে গিয়ে কথা বললে উনি দৈনিক খবরের কন্ঠ কে বলেন আমরা বর্ডার পাহারা দেই কে বালু তুললো কে তুলে নাই এগুলা দেখার দায়িত্ব আমাদের না, এ বিষয় আপনারা ইউওনো সাহেবের সাথে কথা বলেন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরকার মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দেওয়ার পর ও তিনি কল রিসিভ করেননি ।