এ কে আজাদ সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি:||
রাতের আঁধারে বালু পরিবহন, দিনে গর্তে ভরা রাস্তায় কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নে অবৈধ বালু ব্যবসা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি এবং এলজিইডি অফিসের অবহেলার কারণে সোনারহাট টু গোয়াইনঘাট সড়ক এখন সম্পূর্ণভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাননীয় জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্রতিনিয়ত রাতের আঁধারে শতশত ট্রাকে করে বালু পরিবহন করা হচ্ছে। পূর্ণানগর থেকে শুরু করে সাতাইন পয়েন্ট পর্যন্ত সরকারি রাস্তার দুই পাশে বালুর বিশাল স্তুপ ফেলে রাখা হয়, আর রাতভর চলে বালু লোডের কাজ। এই অতিরিক্ত ভারবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তায় বড় বড় গর্ত ও ফাটল সৃষ্টি হয়েছে।
বিশেষ করে সোনারহাট টু গোয়াইনঘাট সড়কে একাধিক ফাটল ও গভীর গর্ত দেখা দিয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের চলাচল কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মোটরসাইকেল, রিকশা কিংবা অটোরিকশা চলাচল করতে পারছে না; স্থানীয়রা প্রতিদিন কাদা-পানি ও গর্ত পেরিয়ে কষ্ট করে চলাচল করছেন।
এলাকাবাসী জানান, এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে টেন্ডারভুক্ত থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোনো কাজ করছে না। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বিষয়টি জানলেও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না; বরং নীরব ভূমিকা পালন করছে।
একজন পথচারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
রাস্তার অবস্থা এমন হয়েছে যে, এখন পায়ে হেঁটে যাওয়া কষ্টকর। টেন্ডার হয়েছে, কিন্তু কাজ হচ্ছে না। প্রশাসন দেখেও চুপ।”
এদিকে, সারীঘাট–গোয়াইনঘাট সড়কেও একই চিত্র। রাতে বালু বোঝাই ট্রাকের দাপটে রাস্তার পিচ উঠে গেছে, তৈরি হয়েছে ধুলা আর গর্তের রাজ্য। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এই অবস্থা চলতে থাকলে সারীঘাট টু গোয়াইনঘাট সড়কও খুব শিগগিরই সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে।
সচেতন মহল বলছে, অবৈধ বালু ব্যবসা ও প্রশাসনের অবহেলার কারণে গোয়াইনঘাটের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো একে একে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে শুধু সরকারি সম্পদই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, সাধারণ মানুষের জীবনযাপনও কঠিন হয়ে পড়ছে।
স্থানীয়রা দ্রুত এই অনিয়ম বন্ধে উপজেলা প্রশাসন, ইউএনও, সহকারী কমিশনার (ভূমি), এলজিইডি কর্তৃপক্ষ ও থানার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করেছেন।