মীর দুলাল।।
হবিগঞ্জে জামায়াত নেতা হত্যা মামলায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন, একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার ১৩ অক্টোবর দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক সৈয়দ মো. কায়সার মোশারফ ইউসুফ এ রায় দেন।
মামলায় দুজনকে বেকসুর খালাস ও মৃত্যুবরণ করায় তিনজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
রায় প্রকাশের পর বাদীপক্ষ অসন্তুষ্ট হয়ে উঠলে আদালত প্রাঙ্গণে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।
সদর মডেল থানার বিপুল সংখ্যক পুলিশ তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি শান্ত করে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গুলজার খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ মামলায় আমরা মোটামুটি সন্তুষ্ট। আমরা সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করেছিলাম।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শাহাবুদ্দিন শাহিন বলেন, রায় ঘোষণার পর বাদীপক্ষ উত্তেজিত হয়ে আসামিদের উপরে হামলা চালাতে উদ্যত হয়।
আমরা তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করি।
কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে জন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, জামায়াত নেতা মহিবুর রহমান চৌধুরীকে ২০১৩ সালের ১৭ জুন রাতে শহরের পুরানমুন্সেফি এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তার বড়ভাই মুজিবুর রহমান চৌধুরী বাদী হয়ে মামলা করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৫ সালে সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক সাজিদুর রহমান ১৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন। মামলায় ২১ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক রায় দেন।
রায়ে মামলার প্রধান আসামি শফিকুল আলম চৌধুরীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও বাকি ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা অন্যরা হলেন, জাহাঙ্গীর আলম, শেবুল মিয়া, রুবেল মিয়া, শামিম, আব্দুল মুকিত, আলমগীর, শামছুল হুদা ছরফুল, মকছুদ ওরফে ছাও মিয়া, তারা মিয়া, রতিশ দাশ, ছায়েদ মিয়া ও নাহিদ মিয়া।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বুলবুল মিয়া ও জুয়েল মিয়াকে খালাস প্রদান করা হয়।
একই সঙ্গে মৃত্যু হওয়ায় আকবর হোসেন, আব্দুল কাইয়ুম ও শাহজাহানকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।