পলাশ বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের
বামনডাঙ্গা গ্রামের মাদ্রাসায় পড়ুয়া অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রুপা আক্তার (১৪) কে মাদ্রাসা ছুটির পরে কৌশলে ধর্ষণ করেন শিক্ষক মোঃ মাহমুদুল হাসান। শিক্ষার্থী পরিবারের দাবি অভিযুক্ত শিক্ষক ছুটির পরে কৌশলে স্কুল কক্ষে ডেকে নিয়ে
জোর পূর্বক রুপাকে ধর্ষণ করেন। রুপা বাড়িতে এসে ঘটনাটি পরিবারকে জানায়। রুপার ভাষ্য অনুযাই ঘটনার আটদিন পরে ০৪ ডিসেম্বর নিজ
বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। ঘটনার পরে ক্ষুব্দ স্থানীয়রা অভিযুক্ত শিক্ষককে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। শিক্ষককের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বারাশিয়ায়।
পিতা : আবদুল হামিদ শিকদার । শিক্ষার্থীর মা, রুপাকে ধর্ষণের দায়ে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন। মুকসুদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শীতল চন্দ্র পাল বলেন, মাদ্রাসার
শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের পর ঐ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে
জানা গেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুল হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।