
আরিফুল ইসলাম
মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের দাওয়াত দেওয়ায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা বর্জন করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে উপজেলার অডিটোরিয়ামে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে প্রশাসন।
উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় উপজেলা জামায়াতে নেতারা উপস্থিত হওয়ার আগেই তাদের দাওয়াত দেওয়ার খবর পেয়েই মুক্তিযোদ্ধারা সভা বর্জন করে চলে যান।
পরে শহরের স্টেশনরোডে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের হল রুমে তাৎক্ষণিক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ডাকেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে মঞ্চে স্থান দেয়ায় আমরা আলোচনা সভা বর্জন করি। যারা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করলো, তাদের সাথে আমরা একসাথে বসতে পারি না। এখানে আমরা কোন আপোষ করতে পারি না।
তাঁরা আরও বলেন, এর আগে আমরা উপজেলা প্রশাসনকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় জামায়াতকে না রাখতে ইউএনও’র প্রতি অনুরোধ জানাই। কিন্তু আমাদের অনুরোধ তিনি রাখেননি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের যুগ্ম আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হক মাহবুব ও মোহনগঞ্জ উপজেলা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ আলী চৌধুরী (হীরা) বক্তব্য রাখেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আহবায়ক আব্দুল খালেক, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহমান, সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা প্রমূখ।
এ বিষয়ে উপজেলা জামায়াতের আমির কাজী মোফাজ্জল হোসেন সবুজ বলেন, আমরা যথাযথভাবে আলোচনা সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছি। তাঁরা (মুক্তিযোদ্ধারা) কাজের ব্যস্ততা দেখিয়ে সভা থেকে চলে গেছেন। তারা যে সভা বর্জন করেছেন এটাও আমরা জানি না। সারা জেলা জুড়েই জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের নিয়ে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। শুধু মোহনগঞ্জে এর ব্যতিক্রম হওয়ার কারন দেখছি না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা খাতুন বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে দাওয়াত দিয়েছি। বীর মুক্তিযোদ্ধারা সভায় আসছিল কিন্তু তারা ব্যস্ততা দেখিয়ে হলরুম থেকে চলে গেলেন।