রুহুল আমিন সুজন -গাজীপুর প্রতিনিধি।
গাজীপুরের শ্রীপুরে মাওনা চৌরাস্তা থেকে ৬৫০ বস্তা প্রতি বস্তায় ১৩ কেজি করে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে বন্যারর্তদের সাহায্যার্থে লক্ষ্মীপুরে যাচ্ছে একটা টিম।
সোমবার ২৬ শে আগস্ট শ্রীপুরের প্রাণকেন্দ্র মাওনা চৌরাস্তার বড় মার্কেট হাজী মালেক মাস্টার কমপ্লেক্স এবং ইয়াকুব আলী মাস্টার টাওয়ারের তরুণ ব্যবসায়ীরা চলমান বন্যার ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় ক্ষুধার্ত মানুষদের সাহায্যার্থে হাজী মালেক মাস্টার কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান সোহাগ ও ইয়াকুব আলী মাস্টার টাওয়ারের ব্যবসায়ী শেখ সেলিম এর সমন্বয়ে ভারত থেকে বর্ষার আগত ঢলে হবিগঞ্জ,মৌলভীবাজার রাঙ্গামাটি,ফেনী,কুমিল্লা,নোয়াখালী,লক্ষ্মীপুর সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার পানিতে এক বিভীষিকাময় অবস্থা ধারণ করে।
বানভাসি এসব মানুষদের ফসলাদি,গচ্ছিত খাদ্য সামগ্রী,গবাদি পশু পাখি বাসস্থান হঠাৎ বন্যার পানি তোরে ভেসে যাওয়ার দৃশ্য বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার পর দেশে ও প্রবাসে বসাবস কারি বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে মানবতার ঝড় উঠে।
দেশের উচু এলাকায় বসবাসকারী স্বাবলম্বী মানুষগুলো বন্যার্তদের সাহায্যার্থে যে যার অবস্থান থেকে টিমা ওয়াকে সাহায্য নিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
মাওনা চৌরাস্তার আবিলী গ্রুপ নামে ব্যবসায়ী তরুন একটি সংগঠন আজ রাত ৮ টা সময় নতুন করে বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়া লক্ষ্মীপুর জেলায় বিভিন্ন অঞ্চলে খাদ্য সামগ্রী ত্রাণ নিয়ে ১০/১২ জনের একটি টিম রওনা করেন।
৬৫০ বস্তার ধারন ক্ষমতার একটি কন্টেইন কারগো গাড়ি এবং ডোনেশন করা গ্রুপের নিজ খরচে আসা যাওয়া হায়েজ গাড়ি ভাড়া করে প্রাণ বিতরণে যান।
যাতে করে সকল সদস্যদের ত্রান উত্তোলনের টাকা থেকে বন্যার্ত সাহায্যর্থীদের টাকাগুলো নষ্ট না হয় এবং সঠিকভাবে ত্রাণ বিতরণ সম্ভব হয়।
বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী এবং নগদ অর্থ ৩ লক্ষ্য ৫০ হাজার ডোনেশন হাতে পেয়ে খাদ্য সামগ্রী,ঔষধ,শিশু ঔষধ, শিশু খাদ্য,কিছু পরিধান কাপড় দিয়ে এক একটি প্যাকেট করা হয়।
এর আগে বিগত বছরগুলোতে মাওনা চৌরাস্তার এ গ্রুপটি বন্যার্তদের সাহায্যে কাজ করেছে।
ভবিষ্যতে এরকম দেশের যে কোনো দুর্যোগপূর্ণ কাজে তাদের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে এ গ্রুপের ২ জন সমন্বয়কারী।