1. live@khaborerkantho.com : খবরের কণ্ঠ : খবরের কণ্ঠ
  2. info@www.khaborerkantho.com : খবরের কণ্ঠ :
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
আজমিরীগঞ্জে জমি নিয়ে সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত অন্তত ২০ জন শিবপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী  অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার৷ ঝিনাইদহ শৈলকুপায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ!  বিজয়নগরে দেশে আসা প্রবাসীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পালিত। গোয়াইনঘাটের নদী অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিলেন-আজমল হোসেন! অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার ঘোষণা! নরসিংদী জেলা মানবাধিকার কমিশন এর উদ্যোগে নৌকা ভ্রমণ। সালুটিকর,গোয়াইনঘাট রোডের কাজ দ্রুত সমাপ্ত না করলে কঠোর কর্মসুচী! আজমিরীগঞ্জে সুদের টাকার জেরে হত্যা ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা!  পানছড়িতে চট্রগ্রাম মহানগর মটর চালক লীগ নেতা আটক

আজ ৪ ডিসেম্বর, ঐতিহাসিক ধানুয়া কামালপুর হানাদার মুক্ত দিবস পালিত।

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

 

জামালপুর বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি।

১৯৭১ সালে আজকের দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে হানাদার বাহিনীর শক্তিশালী ঘাঁটি কামালপুর দুর্গের পতন হয়। তাই দিনটিকে স্মরণ করে প্রতি বছরই স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা হানাদারমুক্ত দিবস পালন করে আসছে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের আয়োজনে দিবসটি উদযাপনে নানা কর্মসূচি পালিত হয়।

উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা অহনা জিন্নাত সভাপতিতে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম।

বিশেষ অতিথি সৈয়দ রফিকুল ইসলাম,

মূখ্য আলোচক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃসিরাজুল হক

আমন্ত্রিত অতিথি জনাব মুনমনু জাহান লিজা,আসমা-উল-হুসনা, খন্দকার শাকের আহামেদ,মানিক সওদাগর,জাহিদুল ইসলাম প্রিন্স, ও বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ আরও অনেকে।

ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলার মহেন্দ্রগঞ্জ ও জামালপুর জেলার পাহাড় ঘেঁষা বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুরে হানাদার বাহিনী যুদ্ধের শুরু থেকেই শক্তিশালী ঘাঁটি গড়ে তুলেছিল। এখান থেকেই হানাদার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলা চালায়। উত্তর রণাঙ্গনের ১১ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল যেকোনো মূল্যে এই ঘাঁটি দখল করা। এই যুদ্ধে কামালপুর রণাঙ্গনে হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের ৮ দফা সম্মুখ যুদ্ধ হয়।

৩১ জুলাইয়ের আগে ধানুয়া কামালপুর রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেন জেড ফোর্স। জেড ফোর্সের অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান পাক বাহিনীর সঙ্গে মোকাবিলা করেন। তৎকালীন ৩১ জুলাই সম্মুখ যুদ্ধে পাক বাহিনীর গুলিতে ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ বীর উত্তম শাহাদাত বরণ করেন। ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ শহীদ হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধারা সেক্টর কমান্ডার মেজর আবু তাহেরের (পরে কর্নেল) পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৪ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীর ধানুয়া কামালপুর ঘাঁটি অবরোধ করেন।

পর্যটকদের সাজেক ভ্রমণে ফের বিধি-নিষেধ দিল প্রশাসন

অবরোধের প্রথম দিনই কামালপুর মৃধাপাড়া মোড়ে সম্মুখযুদ্ধে মর্টার শেলের আঘাতে সেক্টর কমান্ডার মেজর আবু তাহের (পরে কর্নেল) একটি পা হারান। যুদ্ধে পা হারানোর পরও কর্নেল তাহেরের নির্দেশে প্রাণপণ যুদ্ধ চালিয়ে যান মুক্তিযোদ্ধারা। পরে ভারপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব নেন উইং কমান্ডার হামিদুল্লাহ খান বীরপ্রতীক।

১০ দিন প্রচন্ড যুদ্ধের পর ৪ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় সেক্টর কমান্ডারের নিদের্শক্রমে সাহসী বীরমুক্তিযোদ্ধা বশির আহমেদ (বীরপ্রতীক) নিজের জীবন বাজি রেখে পাক বাহিনীর ক্যাম্পে সারেন্ডার পত্র নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যা ৭টায় ৩১ ব্যালুচ রেজিমেন্টের গ্যারিসন কমান্ডার আহসান মালিকসহ ১৬২ জন হানাদার বাহিনীর সদস্য মিত্র বাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করে। এর মাধ্যমে শত্রু মুক্ত হয় ধানুয়া কামালপুর। মহান মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ সংগঠিত হয় এই ধানুয়া কামালপুরে।

ধানুয়া কামালপুর যুদ্ধে ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ (বীর উত্তম), মুক্তিযোদ্ধা গাজী আহাদুজ্জামান, তসলিম উদ্দিন সহ শহীদ হন ১৯৭ জন মুক্তিযোদ্ধা। গুলিবিদ্ধ হয়ে ক্যাপ্টেন হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বীর বিক্রম (সাবেকমন্ত্রী মেজর হাফিজ) সহ অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেন।

অন্যদিকে একজন ক্যাপ্টেনসহ হানাদার বাহিনীর ২২০ জন সৈন্য মারা যায় এ যুদ্ধে। ধানুয়া কামালপুর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ২৯ জনকে তাদের বীরত্বের জন্য বীর বিক্রম, বীরউত্তম ও বীরপ্রতীক খেতাব দেওয়া হয়। শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরণে তৎকালীন বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) নিজস্ব অর্থায়নে ধানুয়া কামালপুর স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরণে নির্মাণ করা হয়েছে ধানুয়া কামালপুর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। প্রতিদিন শত শত মানুষ এই জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি ও প্রামাণ্যচিত্র দেখতে আসেন। ডিসেম্বর মাস এলেই মুক্তিযোদ্ধাদের মিলন মেলায় পরিণত হয় মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টর ধানুয়া কামালপুর।

মোস্তফা গাজী

জামালপুর বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট