1. live@khaborerkantho.com : খবরের কণ্ঠ : খবরের কণ্ঠ
  2. info@www.khaborerkantho.com : খবরের কণ্ঠ :
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৬:১৫ অপরাহ্ন

লালমনিরহাটে আগাম জাতের আলু চাষে ভাগ্য খুলছে কৃষকের!

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

 

মিজানুর রহমান মিলন
বিশেষ প্রতিনিধি।।

লালমনিরহাটে কৃষকেরা আগাম জাতের আলু চাষ করে ভাগ্য খুলে গেছে। বাজারে ভালো দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছেন তারা। জেলার বিভিন্ন ‌বাজারে ইতিমধ্যেই আগাম জাতের নতুন আলু ব্যাপক হারে উঠতে শুরু করেছে। এবার আগাম জাতের আলুর দাম গতবারের তুলনায় বেশ ভালো,তাতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।

জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুড়ে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়। পাইকারি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি কেজি আলু ৫০ থেকে ৫২ টাকায় কিনে এনে খুচরা বাজারে ব্যাবসায়ীদের কাছে প্রতি কেজি আলু বিক্রি করছেন ৫৫ – ৫৭ টাকায়।খুচরা ব্যাবসায়ীরা ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি করছেন প্রতি কেজি আলু ৬০-৬৫ টাকায়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, আগাম আলু সহ চলতি মৌসুমে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলায় ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে । আগাম জাতের আলু হেক্টর প্রতি ১৭ মেট্রিক টন এবং মৌসুমী আলুর প্রতি হেক্টর জমিতে ২৮.৫ থেকে ২৯ টন উৎপাদনের প্রত্যাশা করছে কৃষি বিভাগ।

পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের চকচকার পাড়া এলাকার কৃষক সাইদুল ইসলাম (৫৫) জানান, আগাম জাতের আলু চাষ করে ভালো দাম পেয়েছি। ৫০ টাকা কেজি দরে পাইকারদের কাছ থেকে জমিতেই বিক্রি করেছি। তাছাড়া ৬০-৬৫ দিনের মধ্যে এই আলু ক্ষেত থেকে তোলা যায়। আগাম ভালো দাম পেয়ে আমাদের মত কৃষকদের আলু চাষের আগ্রহ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে ।

কৃষক জাহিদ হাসান (৪০) বলেন, প্রতিবিঘা(৩৩ শতাংশ) জমিতে আগাম জাতের আলু ২২-২৫ বস্তা হয়ে থাকে যা পরিমাণে ৩৫-৩৭ মণ পর্যন্ত। এছাড়াও মৌসুমের শুরুতেই বাজারে আসায় এই আলুর চাহিদা থাকে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত।

পাইকার মজিদুল ইসলাম (৪২)বলেন, আমাদের কৃষকদের ক্ষেত থেকে আলু কিনতে হয় পাল্লা প্রতি (৫ কেজি) ২৪০-২৫০ টাকায়। সেই আলু আবার বাজার নিয়ে এসে
খুচরা দোকানদারদের কাছে কেরিং খরচ সহ পাল্লা প্রতি বিক্রি করতে হচ্ছে ২৭০-২৮০ টাকায়। তিনি আরো বলেন, কিছুদিনের মধ্যে মৌসুমী আলু বাজারে চলে আসলে আলুর দাম আরো কমে আসবে।

লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড.মোঃ সাইফুল আরিফিন বাসস’কে জানান, আগাম আলু চাষের জন্য এ উপজেলার জমি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় আগাম ধান কর্তনের পর এখানকার কৃষকেরা এক খন্ড জমিও ফেলে রাখে না। এ ছাড়া বছরের পর বছর যে জমিগুলো পতিত থাকতো গত কয়েক বছর থেকে সে জমিগুলো পতিত না রেখে আগাম জাতের আলু চাষ করে ইতিমধ্যে বাজারে সারা ফেলে দিয়েছেন জেলার প্রান্তিক কৃষকেরা, এতে ভোক্তা পর্যায়েও কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।
[12/22, 2:17 PM] Mizanur Rahman Lalmonirhat: লালমনিরহাটে সাংবাদিকের উপর হামলাকারী মাইদুল গ্রেফতার

মিজানুর রহমান মিলন
বিশেষ প্রতিনিধি।।

লালমনিরহাটে বাস মিনিবাস শ্রমিকদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করার সময় সাংবাদিকের উপর হামলার মুল পরিকল্পনাকারী মাইদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে লালমনিরহাট থানা পুলিশ।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে জেলা শহরের হাড়িভাঙ্গা বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাইদুল ইসলাম শহরের হাড়িভাঙ্গা বদিয়ারটারী এলাকার অছদ্দির ছেলে।

এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর দুপুরে লালমনিরহাটে বাস মিনিবাস, কোচ ও
এবং মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে সাংবাদিকরা সেখানে দায়িত্ব পালন করতে গেলে মাহফুজার ও বকুল গং এর ভাড়া করা আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী মাইদুল ইসলাম পুর্ব পরিকল্পিতভাবে জিন্না ও রতন সাংবাদিকের উপর হামলা চালায়। এ সময় শ্রমিকদল নেতা ওমর ফারুক বাবলু গুরুতর আহত হয়।

এঘটনায সাংবাদিক শরিফুল ইসরাম রতন বাদি হয়ে মাইদুলকে প্রধান করে চারজনের নাম উল্লেখ করে ওইদিনই লালমনিরহাট সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল কাদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা শহরের হাড়িভাঙ্গা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার মুল আসামী মাইদুলকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, আওয়ামী সরকার পতনের পর বিএনপি সমর্থিত লালমনিরহাট জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্ব নিয়ে দুটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়। একটি পক্ষ সংগঠনের পুরনো রেজিস্ট্রেশন নাম্বার(২৪৯৩) বহাল রাখার দাবি এবং বহিরাগত শ্রমিক ও দ্বৈত শ্রমিক দ্বারা প্রচলিত শ্রম আইন লঙ্ঘন করে শ্রমিক ইউনিয়নের নতুন রেজিষ্ট্রেশন নেওয়ার প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি ওমর ফারুক বাবলু। অপর পক্ষ মাহফুজার ও বকুল ড্রাইভারগংরা আওয়ামী দোসরদের সাথে নিয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের নতুন রেজিষ্ট্রেশন নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রাখে। এতে করে উভয় পক্ষের মধ্যে ক্ষোভ ও সংঘাতের সৃষ্টি এবং পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট