স্টাফ রিপোর্ট!
কুমিল্লার লাকসামে যুবদলের প্রতিনিধি সভা ঘিরে চরম উত্তেজনা
দুপুরে ১টার দিকে উপজেলা সদরের দৌলতগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এতে বাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লাকসামে বিএনপির রাজনীতি দুটি গ্রুপে বিভক্ত। এক গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কুমিল্লা বিভাগীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কর্নেল (অব.) আনোয়ার উল আজিম। অন্য গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম। দীর্ঘদিন থেকে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের কমিটি গঠন নিয়ে দুই গ্রুপে পরস্পরবিরোধী অবস্থানে রয়েছে। এতে দলীয় নেতাকর্মীরা দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।
মঙ্গলবার কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের একটি সাংগঠনিক টিম লাকসামে প্রতিনিধি সভায় অংশগ্রহণ করার কথা জানালে অন্য গ্রুপও তাদের সভায় যোগদানের অনুরোধ করেন। প্রথমে জেলা যুবদলের সাংগঠনিক টিম পৃথক সভায় উপস্থিত থাকার আশ্বাস দিলেও পরে কর্নেল (অব.) এম. আনোয়ারুল আজিমের গ্রুপের নেতাকর্মীদের তাদের সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। পরে দুপুরে জেলা যুবদলের সাংগঠনিক টিমের নেতৃত্বে আবুল কালাম গ্রুপের কার্যালয়ে যুবদলের প্রতিনিধি সভা শুরু হয়।
এ সময় কর্নেল (অব.) এম. আনোয়ারুল আজিম গ্রুপের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা দৌলতগঞ্জ বাজারে মিছিল বের করেন। মিছিলটি দৌলতগঞ্জ উত্তর বাজার প্রদক্ষিণকালে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এতে দুপক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে অনেকে দোকানপাট বন্ধ করে দেন। বড় ধরনের কোনো সংঘাতের আগেই সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল গিয়ে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে লাকসাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন জানান, উত্তেজনার খবর শুনে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ছিল। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।……..