সংবাদদাতা : দেলোয়ার হোসাইন মাহদী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শাহবাজপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ট্রাক-পিকআপসহ আড়াই কোটি টাকার ভারতীয় ছাগল-দুম্বা আটক করেছে সরাইল ব্যাটালিয়া (২৫ বিজিবি)।
সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর একটি বিশেষ টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিজিবি এবং পুলিশ সদস্যের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত টাস্কফোর্স অভিযানে ১ জন আসামীসহ ভারতীয় অবৈধ রাজস্থানী তোতাপুরি ছাগল-৩২টি, দুম্বা- ১০টি, মাঝারি ট্রাক- ০১টি এবং ১টি পিকআপ আটক করে। আটককৃত তোতাপুরি ছাগল, দুম্বা, ট্রাক ও পিকআপের আনুমানিক বাজার মূল্য ২,৪৭,০০,০০০/- (দুই কোটি সাতচল্লিশ লক্ষ) টাকা।
আটককৃত আসামী মোঃ ইয়াকুব আলী (২৯) যশোর জেলার পোরশা উপজেলার পোটখালী গ্রামের মোঃ আহাদ আলীর ছেলে। আটককৃত আসামীকে ভারতীয় তোতাপুরি ছাগল, দুম্বা, ট্রাক এবং পিকআপসহ সরাইল থানায় জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এব্যাপারে বিজিবি ২৫ এর অধিনায়ক লে: কর্নেল জাব্বার আহমেদ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত দিয়ে যেন ভারত থেকে ছাগল ও দুম্বাসহ অন্যান্য যে কোন ধরণের চোরাচালানী মালামাল বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) বদ্ধ পরিকর এবং এব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর অভিযান চলমান অব্যাহত থাকবে।
[5/10, 10:24 PM] দেলোয়ার হোসাইন মাহদী: মাছ বিক্রি করতে এসে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
সংবাদদাতা : দেলোয়ার হোসাইন মাহদী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (১০ মে) নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের বাজারে মাছ বিক্রি করতে আসলে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মো. রহিম মিয়া নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের মৃত শিশু মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতির সাথে জরিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিল’-এ হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রহিম মিয়া ৭০ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি। ওই ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মোট ১১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ঘটনার পর থেকেই রহিম মিয়া আত্মগোপনে ছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাসিরনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সুজন সাহা ও ভুবেনসহ একদল পুলিশ সদস্য তাকে গ্রেফতার করেন।
এ বিষয়ে নাসিরনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা হাসান জামিল খান বলেন, “মো. রহিম মিয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তাকে গ্রেফতার করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হবে।”