এ কে আজাদ সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি: ||
জ্বালানী উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাসসংযোগ দেয়া হবে না। সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম।
শুক্রবার সকালে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দুটি গ্যাসকুপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
গৃহস্থালিতে পাইপলাইনের গ্যাস ব্যবহার করে অপচয় করা হচ্ছে উল্লেখ করে জ্বালানী উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম।
গ্যাস কূপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন জ্বালানী উপদেষ্টা। এসময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সিলেটের যেসব এলাকা থেকে গ্যাস উত্তোলন হয় সেসব এলাকার বাসিন্দারা তাদের বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেয়ার জন্য দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছেন।
এ ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেয়া হবে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, শিল্প কারখানা যেখানে গ্যাস পাচ্ছে না সেখানে বাসা বাড়িতে গ্যাস দেয়া অপচয়।
নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাসসংযোগ দেয়া হবে না। তবে যেসব এলাকায় গ্যাস উত্তোলন করা হয়, সেসব এলাকায় স্বল্প মূল্যে সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ করবে সরকার।
তিনি বলেন, আমার পক্ষে যদি সম্ভব হতো তাহলে ঢাকার বাসাবাড়িতেও গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন কমছে। পাশাপাশি এলএনজি আমদানি বেড়েছে। এক্ষেত্রে গ্যাসের উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি কমানোর চেষ্টা চলছে।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, শুক্রবার পরিদর্শিন করা কৈলাশটিলা-৭ ও সিলেট-১০ গ্যাস কুপ থেকে থেকে প্রতিদিন ১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে গোলাপগঞ্জে কৈলাসটিলা গ্যাসফিল্ড পরিদর্শনে করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এসব কথা বলেন।
সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি উপজেলার পৌর এলাকাস্থ কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ৭নং কূপ এলাকা, বাপেক্সের রিগ বিজয়-১২ ও কৈলাশটিলা ১ নং কূপে ওয়ার্কওভারের নিমিত্ত প্রস্তুতকৃত রিগপ্যাড পরিদর্শন করেন। এরপর তিনক একই উপজেলাধীন কৈলাশটিলা এমএসটি প্লান্ট পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে সাথে ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের (অপারেশন বিভাগ) অতিরিক্ত সচিব মোঃ খালিদ আহমেদ, বাপেক্স/এসজিএফএল’র প্রকৌশলী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সোহেব আহমদ, পেট্রো বাংলার চেয়ারম্যান রেহসানুল ইসলাম, সেক্রেটারি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনির হোসেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ড’র ডিজিএম ফারুক আহমদ, কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ড এমএসটি প্লান্ট’র ডিজিএম জাফর রায়হান সহ সংশ্লিষ্ট কুপের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ।