1. live@khaborerkantho.com : খবরের কণ্ঠ : খবরের কণ্ঠ
  2. info@www.khaborerkantho.com : খবরের কণ্ঠ :
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১১:০১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
দৈনিক খবরেরকন্ঠ পত্রিকায় রাজু আহমেদকে রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ প্রদান! শিবপুরে পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত। গোয়াইনঘাটে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় মানববন্ধন দোয়ারাবাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ! দৈনিক খবরেরকন্ঠ পত্রিকায় শামীম আহমেদকে সিলেট জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ প্রদান! অগ্নিকাণ্ডে হকার্স মার্কেটের দোকানদের মাঝে ক্ষতিপূরণ প্রদান, নরসিংদীর শিবপুর পৌরসভার বাজেট ঘোষণা। গোপালগঞ্জে সুশাসন,মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে ওসির প্রতিজ্ঞা! সিলেট ৬ আসনে বাবার পথেই হাঁটছেন বিএনপির,তামিম ইয়াহয়া। লালমাইয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত!

সিলেট ৬ আসনে বাবার পথেই হাঁটছেন বিএনপির,তামিম ইয়াহয়া।

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্ট :

কথায় আছে না, বৃক্ষ তোমার নাম কি? ফলে আমার পরিচয়। এডভোকেট মাওলানা রশীদ আহমদের ছেলে, তাই তামিম ইয়াহয়া ভালো ফলের বাইরে অন্য কিছু হওয়ার কথা না৷ যে বাবাকে সিলেটের মানুষ মানব দরদী, গরিবের বন্ধু হিসেবে চিনতেন, সেই মহান বাবার ছেলে তামিম ইয়াহয়াই হওয়ার কথা। উনাকে নিয়ে লিখবো বলে অনেক দিন উনাকে পর্যবেক্ষণ করলাম। এই পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্য ছিল এটা নিশ্চিত করা যে জনমুখী সেবার এই কাজগুলি উনি মন থেকে করছেন না লোক দেখানো। সেবার ধারাবাহিকতা, কন্সিসটেন্সি এবং মানুষের মূল্যায়ন থেকে এটাই পরিস্কার হলো এতদিনে যে মানব দরদী বাবার আয়না উনার এই ছেলে।

তামিম সাহেব আমার নজরে অনেক দিন থেকে আছেন। বোমা ফাটালেন প্রপারলি ২৯ অক্টোবর ২০২৩ সালে৷ দলিও হরতাল পালন করতে গিয়ে, সিলেট ৬ আসনের হেতিমগঞ্জ বাজারে, পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের সাথে মারামারি করে, শরীরে রামদার কুপে যখন ৪০ টার উপরে সেলাই লাগে, তখন। আমি নিয়মিত অবাক হই। বিএনপির হরতাল পালন করতে বিএনপির কেউ সকাল ৬ টায় মাঠে, এ আবার কি করে। এখানেই তো একটি বিরলতম ইতিহাস রচিত হয়ে গেলো। আমি কোন এক সময় উনাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম অই সকালের পিছনের রহস্য নিয়ে। বলেলন সকাল সন্ধ্যার কর্মসূচি, সকালেই তো মাঠে থাকার কথা। ইংরেজিতে বললেন otherwise how we will get a cultural shift in our party. পরে বললেন আমি মাঠে না থাকলে কর্মীরা কেন থাকবে?

সিলেটের একটি সম্ভ্রান্ত এবং ঐতিহ্যবাহী পরিবারের ছেলে। দাদা সিলেটের একজন ফার্স্ট ক্লাস কনট্রাক্টর এবং বার বার নির্বাচিত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মরহুম মাহমুদ হুসাইন। নানা গোলাপগঞ্জের প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান এবং সিলেটের দি এইডেড হাই স্কুলের শিক্ষক মরহুম ফজলুল হক তানু মিয়া৷ দাদার বাবা ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টের একজন ওলি, মরহুম মাওলানা আবদুল গনি সাহেব। উনার বাবা ছিলেন ডক্টর আসগর আলি। সব মিলে ১৫০ বছরের সমাজ সেবার ইতিহাস এ ৫/৬ সিড়িতে। সেই পরিবারের ছেলে, রাজনীতি করতে গিয়ে, মাঠে ঘাটে রক্ত ঝরায় রামদার কুপে, কি ভাবে। কোন একদিন এটা নিয়ে ও জিজ্ঞেস করেছিলাম। উত্তর দিলেন মানুষের রাজনীতি তো মাঠে ঘাটেই করার কথা ভাই৷ যাদেরকে সেবা দেওয়ার ঐতিহ্য আমার পরিবারের আছে তাদের পাশে থেকেই তো আমার রাজনীতি হওয়ার কথা তাই না? I like to lead from the front, be amongst the crowd.

শিক্ষাগত যোগ্যতায় একজন সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ার। পেশায় একজন আন্তর্জাতিক ভাবে সফল ব্যবসায়ী। বাংলাদেশে সমাজ সেবায় অন্তর্ভুক্ত হন ১৯৯৯ সালে, নিজের বাবার সাথে এবং গ্রামের মেঠো পথে হেঁটে হেঁটে শিখেছেন বাবার স্টাইলের সেবা। তাই এডভোকেট মাওলানা রশীদ সাহেব মারা যাওয়ার পরে উনার শূন্যস্থান অতি সহজে ছেলে তামিম ইয়াহিয়া পূরণ করতে পেরেছেন। এই পারাটার পিছনে হলো বাবার সাথে বছরের পর বছর সময় দেওয়া, বাবা থেকে শিকা। উনার গোলাপগঞ্জের কোহেল’স কিচেন রেস্টুরেন্টে গেলে উনার পপুলারিটি এবং মানুষের উনার প্রতি আস্থা এবং ভালোবাসা কি ধরনের তা বুঝা যায়। একজন পরে আরেকজন আসছেন। কেউ ছেলে, মেয়ে, ভাই, বোনের বিয়ের জন্য সাহায্য নিতে। কেউ চিকিৎসা বা অষুধের জন্য। কেউ দৈনন্দিন যাবতীয় খরচের টাকা। কেউ ঘরের জন্য টিন। আবার অনেক আছেন মামলা, দখলের শিকার হয়ে উনার মাধ্যমে পরিত্রাণ। এলাকা শুধু সিলেট ৬ (গোলাপগঞ্জ বিয়ানীবাজার) যে তা নয়। রশীদ সাহেবের আমল থেকেই এই সেবা সিলেটের কোনায় কোনায় বিশ্রিত। শুধু ধারাবাহিকতা চলছে। দর্ণাঢ্য অনেকেই আছেন কিন্তু উনার কাছে আসতে মানুষ যেন শান্তি পায়, উনার কাছে যাও বলে দিতে প্রশান্তি পায়। উনি যেন সেবার এক ডিপার্টমেন্টাল স্টোর খুলে রেখেছেন।

সিলেট ৬ আসন বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি লাব করে মাওলানা রশীদ সাহেবের মাধ্যমে । বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গুম নেতা জনাব ইলিয়াস আলি সাহেবের হাত ধরে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের আশীর্বাদ নিয়ে, লাগাতার বছরের পর বছর, শত শত মিটিং করে দলকে একটি সক্তিতে পরিনিত করেছিলেন। নেতা কর্মীদের দুর্দিনে পাশে থেকে, শেল্টার দিয়ে, হামলা মামলা নিজে মেনেজ করে উনাদেরকে উৎসাহিত করেছিলেন। এটা নেতা কর্মীরা অকপটে শিকার করেন বটে। রশীদ সাহেব যে সিলেট ৬ আসনের বিএনপি পরিবারের মনের গহীনে রাজ করেছেন সেটা অনুধাবন করা যায়। উনার ছেলে সেই স্টাইলে সামন থেকে দলকে, নেতা কর্মীদেরকে শেল্টার দিচ্ছেন, ওদের সাথে কাঁধে কাধ মিলিয়ে মাঠের রাজনীতি করছেন। ২৯ অক্টোবর ২০২৩ এর পরে শুরু হওয়া আনদোলনে সিলেট ৬ এর হেভিওয়েটদের মধ্যে এক মাত্র উনি যার উপরে মামলা রয়েছে, বা জেল খেটেছেন। এলাকার মানুষ সাক্ষী উনার প্রথম সারি থেকে আন্দোলন করার। বিদেশ যাওয়ার সুযোগ থাকলেও দেশের এমন পরিস্থিতিতে শুধু দেশেই থাকেননি ফ্রন্টলাইন রাজনীতি মাঠে করে গেছেন। এটা ও বিরল এক ইতিহাস। আমরা তো দেখছি পুরো সিলেটে উল্লেখযোগ্য বিএনপি বা জামাতের কয় জন মাঠে ছিলেন।

রাজনীতি অনেকেই করেন। বড় বড় পদ নিয়ে করেন। কিন্তু পারিবারিক ভাবে বছরের পর বছর কয়জন রাজনীতির ইতিহাস দেখাতে পারবেন? কয়জন কন্সিস্টেন্টলি মানুষের দুখে কাঁধে কাধ মিলাতে দেখাতে পারবেন? কয়জন দেশ এবং জাতির ক্রান্তিলগ্নে মাটের অস্তিত্ব দেখাতে পারবেন? কয়জন দলের কমান্ড নিয়ে আন কম্প্রোমাইজিং যার কারনে সকাল ৬ টায় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে রামদার কুপ খাওয়া দেখাতে পারবেন? দল অনেকে করেন। রাজনীতি ও করেন। কিন্তু নিজের এলাকা নিয়ে কয়জন এইভাবে মিশ্রিত আছেন?

গত রামাদানে উনার কর্মসূচি দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি৷ নীরবে কাজ করেছেন আর আসলে উনারা এই ভাবেই করেন, ঢাক ঢোল পিঠে করতে কখনো দেখিনি৷ গরিবের কাছে দলের নামে পৌছাচ্ছেন ইফতার। নিজের রেস্টুরেন্টে গরিবদের জন্য পুরো মাস ফ্রি খাওয়ার ব্যবস্থা রেখেছেন। ঈদের জন্য পানজাবি সারি বন্টন হয়েছে। আবার খাদ্য সামগ্রী তো আছেই৷ তারি সাথে বৃষ্টির মৌসুমের জন্য টিন দেওয়া চলছে অহরহ। কোরবানির ঈদে শত শত মানুষকে নিজেদের মাদ্রাসায় খাইয়েছেন, এবং শত শত কেজি গোস্ত গোলাপগঞ্জ বিয়ানীবাজারে বন্টন করেছেন। শেষমেশ কয় দিন আগে ডক্টর জুবাইদা রহমানের জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে ২০০০+ রোগিদেরকে, সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৩২ জন ডক্টর দিয়ে ফ্রি চিকিৎসা এবং ওষুধ কর্মসূচি উনার কোহেল’স কিচেনে, জনতার মনে জায়গা করেছে। সামাজিক বাবার সামাজিক ছেলে তামিম ইয়াহয়া। গরিবের বন্ধু খ্যাতো বাবার গরিবের বন্ধু ছেলে। একটি অর্থবহ পরিবর্তনের লক্ষ্যে সমাজ নিয়ে কাজ করা বাবার, সমাজকে বদলানোর প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাওয়া ছেলে। রাজনীতি সবাই করে। কিন্তু সমাজের ভালোর জন্য, জনগনের সেবাকে প্রথমে রেখে রাজনীতি আসলেই এরা করে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট