1. live@khaborerkantho.com : খবরের কণ্ঠ : খবরের কণ্ঠ
  2. info@www.khaborerkantho.com : খবরের কণ্ঠ :
শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ০২:১০ পূর্বাহ্ন

ফটিকছড়িতে ঘরে ঘরে ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ!

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

 

চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনি

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাস। জ্বর, সর্দি কাশি। গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্হানীয় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

ঋতু পরিবর্তন কারণে এই ভায়রাস জ্বর ছড়িয়ে পড়েছে। শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি বেসরকারি ক্লিনিক ও পল্লী চিকিৎসকদের চেম্বার ভাড়ছে রোগীর ভির।

ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য অনুযায়ী গত এক সপ্তাহে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্হী বিভাগে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০০ রোগী আসে।তাদের শতকরা ৭৫% জ্বর, সর্দি ও কাশি রোগে আক্রান্ত।

দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আরমান বলেন,আমার পরিবারের পাঁচ জন সদস্য গত এক সপ্তাহ ধরে ভাইরাস জ্বরে ভোগছি।জ্বর শরীর ব্যাথা আর কাশিতে সবাই কষ্ট পাচ্ছি।

চিকিৎসকের বলছেন আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এসময় দিনে গরম রাত ঠান্ডা পড়ার কারণে ভাইরাস সক্রিয় হয়ে উঠে। জ্বরের সাথে শরীর ব্যাথা মাথা ব্যাথা,কাশির মত লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু রোগের বিশেষজ্ঞ ডাঃ এইচ,এম, রাশেলদুল বলম বলেন, ” ঋতু পরিবর্তন কারণে ভাইরাসজনিত এই রোগের প্রকোপ বেড়েছে। বিশেষ করে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আমার ব্যক্তিগত চেম্বারে ও প্রতিদিন এমন অনেক রোগী আসছে।
বাংলাদেশ পল্লী চিকিৎসক কল্যাণ সমিতির ফটিকছড়ি শাখার সভাপতি বাবু স্বপ্ন কুমার দত্ত জানান সারা ফটিকছড়ি উপজেলা জুড়ে আমাদের তিন শতাদিক নিবন্ধদিত পল্লী চিকিৎসক রয়েছেন। তারা প্রতিদিন বিপুল সংখ্যাক রোগীর সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

তাঁর দাবি হাসপাতালের বাহিরে পল্লী চিকিৎসকরা প্রতিদিন অন্তত তিন হাজার ভাইরাসজনিত জ্বর সর্দি কাশি রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।

তবে চিকিৎসকরা বলছেন এই জ্বর নিয়ে আতক্নিত হওয়ার কিছু নেই।

ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বাবু ডাঃ সৌনম বড়ূয়া বলেন এটি একটি সাধারণ ফ্লু বা ভাইরাস জ্বর।আবহাওয়া পরিবর্তন সময় এটি প্রায়ই হয়ে থাকে। সাধারণ ৫-৭দিনের মধ্যে এটি সেরে যায়।

তিনি বলেন আমরা রোগীদের বিশ্রাম প্রচুর পরিমানে পানি পান এবং প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। গুরুতর মনে হলে পার্শ্ববর্তী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে অনুরোধ করে থাকি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট