বিশেষ প্রতিনিধি : এম এ আকবর
ফটিকছড়ির আলোচিত মাহিন হ/ত্যা মামলার ঘটনায় আহত কিশোর রাহাতের বড় ভাই রিয়াদের ওপর হা/ম/লার অভিযোগ উঠেছে। মামলার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় বদিউল আলম নামের এক ব্যক্তি বুধবার ( ৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের চৌমুনী বাজারে রিয়াদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে এ হা/ম/লা চালান বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে রিয়াদ দোকানে বসে হিসাব করছিলেন। এসময় বদিউল আলম ও তার সাথে থাকা আরেক ব্যক্তি দোকানে ঢুকে কেন তৈয়বকে মামলায় আসামি করা হয়েছে তার কৈফিয়ত চান। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হলে বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসেন। তখন বদিউল আলম উত্তেজিত হয়ে তাদের গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বাজারের শতশত মানুষ জড়ো হয়ে বদি ও তার সহযোগীকে দোকানের ভেতরে আটক করে থানায় খবর দেন।
খবর পেয়ে ফটিকছড়ি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে বদিউল আলমসহ দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ফটিকছড়ি থানার ওসি নুর আহমদ বলেন, “কাঞ্চননগরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির খবর পেয়ে পুলিশ ফোর্স নিয়ে সেখানে যাই। স্থানীয়দের হাতে আটক বদিউল আলমসহ দুজনকে থানায় আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার সহযোগী ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক। তাই তাকে স্থানীয়দের জিম্মায় দিয়ে বদিউল আলমকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।”
অন্যদিকে বদিউল আলম কাঞ্চননগর ইউনিয়ন কৃষক দলের প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এ ঘটনায় সংগঠনটি তাকে বহিষ্কার করেছে বলে জানা গেছে। ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি মোজাম্মেল হক তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাব উদ্দীনের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।