শামীম আহমদ সিলেট জেলা প্রতিনিধি।
প্রায় ২৫ দিন পর (রবিবার ৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে আসল ওমান প্রবাসী গোয়াইনঘাটের সদর ইউনিয়নের দ্বারিখেল গ্রামের ইরশাদ আলীর পুত্র রেমিট্যান্সযোদ্ধা আব্বাস উদ্দিনের নিথর মরদেহ।
গত রাত ২ ঘঠিকার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার লাশবাহী কফিন রিসিভ করেন তার পরিবার। তিনি গত ১২ অক্টোবর রাতে ওমানের সালালা রুমের মধ্যেই ঘুমন্ত অবস্থায় রুমমিট একই এলাকার বাহার উদ্দিনের ছুরির আঘাতে নির্মমভাবে খুন হন। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ওমানে থাকা গোয়াইনঘাটের প্রবাসীদের অর্থায়নে তাকে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
জানতে চাইলে ওমান প্রবাসী কমিউনিটি নেতা নাসির উদ্দিন জানান-ঘটনা শোনার সাথে সাথে আমরা সকল প্রবাসীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে তাহার লাশ দেশে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছি এবং অর্থ সংগ্রহ করে দীর্ঘ ২৫ দিন পর তার মৃতদেহ আমরা দেশে পাঠাতে সক্ষম হয়েছি।ওমান প্রবাসীদের মুখপাত্র জমির উদ্দিন, জিয়াউর রহমান জিয়া, এনামুল হক, সাংবাদিক আমির উদ্দিন, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম রাব্বানী সুমন সহ আমরা সবাই একই হোয়ারসাপ গ্রুপ করে আব্বাসের মৃতদেহ দেশে পাঠানোর উদ্যোগ নেই, এতে অনেক প্রবাসীরা আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করেছেন আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সুমন জানান বিদেশের মাটিতে একই এলাকার মানুষের হাতে এমন নির্মম ঘটনায় আমরা ব্যতিত ও শোকাহত। আমি ইউনিয়ন বাসীর পক্ষ থেকে সকল প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, যে তারা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেও একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। প্রবাসীরা মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, আমার ইউনিয়ন বাসী তাদের কাছে চীর ঋণী।
বলা আবশ্যক যে জীবন জীবীকার তাগিদে ৩ বছর পূর্বে ওমানের মাটিতে পাড়ি জমান এই রেমিট্যান্সযোদ্ধা। রুমমিটের হাতেই ইহকালের মায়া মমতা ত্যাগ করে তাকে চলে যেথে হয়েছে পারাপারে। শনিবার বাগ আসর এলাকার একটি স্কুল মাঠে তাহার জানাযার নামায যে পঞ্চায়েত কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
অপরদিকে লাশ বাড়িতে পৌঁছার সাথে সাথেই বাড়িতে কান্নায় মূর্ছা যাচ্ছেন আত্মীয় স্বজন, তাদের ক্রন্দনে আকাশ পাতাল ভারী হয়ে উঠেছে, শোক প্রকাশ করেছেন কমিউনিটি নেতা, রাজনীতিবিদ সহ বিশিষ্টজন।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আসামী বাহার উদ্দিন ও অপর রুমমিট দেলোয়ার হোসেন ওমানের জেলে রয়েছেন।