 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    
সিলেট জেলা প্রতিনিধি:
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের গারো গ্রামে বাড়ি প্রবেশের রাস্তা জোরপূর্বক বন্ধ করে চলাচলে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে একদল প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আজিজুর রহমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), ওসি ও এসিল্যান্ডসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১০নং পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের গারো মৌজার বি.এস. জে.এল. নং–২২৩, খতিয়ান নং–৬৬, দাগ নং–২০০, মোট ১৬ শতক জায়গা মৃত ফরজান আলীর ছেলে হুসন আহমদের নিকট হতে ৪ শতক জায়গা খরিদা সুত্রে মালিক হয়ে আজিজুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে নিজ বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতি একই গ্রামের জহির উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, ইসলাম উদ্দিন, শাহজাহান ও নাজিম উদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন জোরপূর্বক উক্ত রাস্তাটির দুই প্রান্তে বাঁশের বেড়া স্থাপন করে এবং মাটি কাটার মাধ্যমে জনচলাচলে চরম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। আজিজুর রহমান অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ২১ অক্টোবর সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে বিবাদীরা অস্ত্রসজ্জিত অবস্থায় ঘটনাস্থলে এসে তাঁর বাড়ি প্রবেশের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাধা দিলে বিবাদীরা হামলার জন্য তেড়ে আসে এবং হত্যার হুমকি দেয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সমাধানের চেষ্টা করলেও বিবাদীরা দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির হওয়ায় কোনো সমাধান হয়নি বলে জানান তিনি। বর্তমানে তিনি ও তাঁর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ছোট ছোট বাচ্চারা মসজিদ-মাদ্রাসা ও স্কুল কলেজে যাতায়াতে বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছেন। একাধিক পরিবার তাদের বসতবাড়িতে যাতায়াতে মারাত্মক দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন। আমরা পঁচিশ-ত্রিশ বছর থেকে দেখে আসছি আজিজুর রহমান এই জায়গাটি ভোগদখল সহ ব্যবহার করে আসছেন।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলী জানান, আমরা স্থানীয় আদালত বসে দেখেছি কাগজপত্রে বাদী আজিজুর রহমানের মালিকানাধীন জায়গাটি সঠিক। আমরা গ্রামবাসীসহ দেশবাসী সবাই জানি।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত জহির উদ্দিন বলেন, এই জায়গাটির মালিক আমরা বাপ চাচা পাঁচ জন। আমরা সাত আনা, আট আনা ভাগ করে খাই। সে কখন যায়গা কিনছে আমরা জানিনা। এখন বিচারে বসে দেখা যায় জরিপের আগের তার দলিল। এই জায়গা হুসন বিক্রি করেছে, কিন্তু হুসনকে এই জায়গার পরিবর্তে অন্য জায়গা দেওয়া হয়েছে। তপশীল বর্ণিত ৪ শতক জায়গা আজিজুর রহমান গং খরিদ সূত্রে মালিক সঠিক, কিন্তু এই জায়গা নয় অন্য জায়গায় তিনি পাবেন। এই জায়গা আমরা দীর্ঘদিন থেকে ভোগদখলে রয়েছি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির প্রবেশ পথের রাস্তা কেটে সবজি ক্ষেত করে বাঁশের বেড়া দিয়ে প্রবেশ পথ বন্ধ রাখা হয়েছে। যা মানুষ চলাচলের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এছাড়া জমির কাগজপত্র ও গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।