
আলী আকবর, ফটিকছড়ি চুট্রগ্রম,
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে অ-বৈধ ইটভাটার বি-রুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয় দিনব্যাপী ব্যাপক মোবাইল কোর্ট ও উ-চ্ছেদ অ-ভিযান পরিচালনা করেছে। অ-ভি-যানে ২২ লক্ষ টাকা জরিমানাসহ ৯টি ইটভাটার চিমনি ভেঙ্গে গু-ড়িয়ে দেয়া হয়। বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) পরিচালিত এ অভি-যানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তর সদর দপ্তরের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: রেজওয়ান – উল-ইসলাম।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন–২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন–১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘন করায় ফটিকছড়ির বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত ভাটাগুলোর বি-রুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অভি-যানে সবগুলো ইটভাটার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আগুন নিভিয়ে ফেলা এবং কাঁচা ইট ভেঙে ফেলা হয়।
পৌরসভা এলাকায় অবৈধভাবে স্থাপিত ভাটায় জ্বালানি কাঠ ব্যবহার ও পরিবেশ বিধি ভঙ্গের অপরাধে বেলা’র রিটের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী হারুয়ালছড়ি মেসার্স এনএস ব্রিকসকে (NS) চিমনিসহ পুরো কিলন ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও সুয়াবিলের মোঃ সাইফুদ্দীনের মালিকানাধীন মেসার্স হালদা ব্রিকসকে ৪ লাখ টাকা, সিরাজুল ইসলামের মালিকানাধীন মেসার্স সিরাজ ব্রিকসকে (SBM),
৪ লাখ টাকা, মোঃ আইয়ুবের মালিকানাধীন মেসার্স আবুল কালাম ব্রিকসকে (KBM) ৪ লাখ টাকা, : মোঃ মহিউদ্দীনের মালিকানাধীন মেসার্স এবিসি–১ ব্রিকসকে ৪ লাখ টাকা,মোঃ আমিনুল হকের মালিকানাধীন মেসার্স এবিসি–২ ব্রিকসকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা,এস.এম. মহিউদ্দীনের মালিকানাধীন মেসার্স একতা ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা,মোঃ মহিউদ্দীনের মালিকানাধীন শাহজালাল ব্রিকস (SBI) কে ১ লাখ টাকা ও মোঃ ইসমাইল হোসেনের মালিকানাধীন হাজী ইউনুচ ব্রিকস (YBM) কে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ৯টি ইটভাটার চিমনি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়।
অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ মোজাহিদুর রহমান, রিসার্চ অফিসার মোঃ আশরাফ উদ্দিন, পরিদর্শক চন্দন বিশ্বাস, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর কাজী ইফতেকার উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে র্যাব–০৭ চট্টগ্রাম, আনসার সদর দপ্তর, ফটিকছড়ি থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ফটিকছড়ি স্টেশনের সদস্যরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা করেন। পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, জনস্বার্থে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।