
হারুয়ালছড়ির ৮ নং ওয়ার্ডস্থ আমান বাজার কবরস্থান উন্নয়ন পরিষদ ও গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী (কঃ) জামে মসজিদ পরিচালনা পরিষদ এর যৌথ উদ্যোগে পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) উপলক্ষে আজিমুশশান নূরানী ওয়াজ মাহফিল বিশিষ্ট সমাজসেবক মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদের সিনিয়র সদস্য ও আশেকানে হক ভাণ্ডারী, শোকর-এ মওলা মঞ্জিলের প্রধান উপদেষ্টা, বিশিষ্ট মাইজভাণ্ডারী লেখক ও গবেষক জনাব মুহাম্মদ শাহেদ আলী চৌধুরী মাইজভাণ্ডারী।
এছাড়া মাহফিলে ওয়ায়েজীন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান আলকাদেরী এবং অত্র মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল কালাম।
প্রধান অতিথি উনার বক্তব্যে কাফের ও মুনাফেক চিহ্নিতকরণের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে বলেন, ” কাফের সম্পর্কে কোরআনে মুনাফেকের তুলনায় কম বলা হয়েছে। মুনাফেক সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে একটি সূরার ১১ টি আয়াত আছে। কাফের মানে নির্বোধ বা বোধশক্তিহীন। তাদের যে কোন সময় বোধশক্তি জাগ্রত হওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু, মুনাফেক পূর্ণ বোধশক্তি সম্পন্ন হয়েও চলনে বলনে এক রকম কাজে-কর্মে সম্পূর্ণ বিপরীত। তারা বেশভূষায় লৌকিক ধর্ম পালন করে কিন্তু কোরআনের আয়াতের বিকৃত তরজুমা করে প্রচার করে। যা চরম মুনাফেকি।
বর্তমানে কাফেরের নয় মুনাফেকের প্রচার বেশি চলছে।”
তিনি মুসলিম নামধারী এই ধরণের মুনাফেকের কবল থেকে ঈমান রক্ষা করার জন্য আহলে বাইয়াত তথা মওলা হুজুর মাইজভাণ্ডারী কেবলা কাবার শামিয়ানা তলে আশ্রয় নেওয়ার আহবান করেন।
উক্ত মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন আশেকানে হক ভাণ্ডারী, শোকর-এ মওলা মঞ্জিল ও জ্যোতি ফোরামের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য কর্মকর্তা, সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম, শিক্ষক প্রতিনিধি, ছাত্র ও যুবসমাজ সহ সর্বস্তরের এলাকাবাসী।
মিলাদ শরীফ পরবর্তী দেশ, জাতি ও মানবকল্যাণে প্রধান অথিতির মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিল সমাপ্ত হয়।