রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারদের স্বাক্ষর জাল করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট জমা দিয়েছে ১২ জন ইউপি সদস্য। এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি।
২০২২ সালের ৫ ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চেয়ারম্যান পদে অংশ গ্রহণ করিয়া শাহরিয়ার সুফল মাহমুদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত না থাকায় জনগণের সেবা পেতে ভোগান্তি হচ্ছে এমন অভিযোগে পরিষদের ১২ জন মেম্বার সুফল চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট জমা দিয়ে তাকে অপসারণের দাবী তুলেছেন। এদিকে এলাকাবাসী বলছেন, সাধারণ ভোটারের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ইউপি সদস্যদের অনাস্থার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুফল এর বিরুদ্ধে যে সকল মেম্বাররা অনাস্থা দিয়েছেন তাতে অধিকাংশ মেম্বারের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সুফল চেয়ারম্যান । মেম্বাররা তার বিরুদ্ধে যাওয়ার কোন কারণ নেই। সুফল চেয়ারম্যান কোন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না। তিনি একজন ভালো মানুষ।
কসবামাজাইল ইউনিয়নের একজন মেম্বার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমি তো ঠিকমতো নামই লিখতে পারি না। ওরা আমার সাক্ষর জাল করেছে। আমি সুফল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোন সই করিনি।
ইউনিয়ন পরিষদের আরো একজন মেম্বার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের উপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে স্বাক্ষর করানো হয়েছে।
অনাস্থার বিষয়ে শাহরিয়ার মাহমুদ সুফল মুঠোফোনে জানান, আমি সবসময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে। কখনোই আমি দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ করিনি। দুর্নীতিকে কখনো প্রশ্রয় দেইনি। ভবিষ্যতেও দেব না। কিছু দুর্বৃত্তরা আমার বিরুদ্ধে মেম্বারদের স্বাক্ষর জাল করে মিথ্যা অনাস্থা এনেছে।
পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আবু দারদা বলেন, অনাস্থার কপি পেয়েছি, তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অতুল সরকার, (খবরের কন্ঠ ২৩/০৮/২৫ )