1. live@khaborerkantho.com : খবরের কণ্ঠ : খবরের কণ্ঠ
  2. info@www.khaborerkantho.com : খবরের কণ্ঠ :
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন

দিনাজপুরে-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকসহ ১২৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা!

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪
  • ১৫৫ বার পড়া হয়েছে

 

মো:আনোয়ারুল কবীর স্বপন
দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি:

দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া দুই যুবককে তুলে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা, লাশ গুম ও হত্যার ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে বাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগে দিনাজপুরে হাকিমপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় দিনাজপুর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক, পৌর মেয়র জামিল হোসেনসহ ১২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।গতকাল সোমবার সকাল আটটার দিকে নিহত যুবক আসাদুজ্জামান নূরের বড় ভাই মো. সুজন বাদী হয়ে হাকিমপুর থানায় মামলাটি করেন। এতে আসামি হিসেবে ২৩ জনের নাম উল্লেখ ও ৯০ থেকে ১০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন শিবলী সাদিক ও জামিল হোসেন ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেনআওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন উর রশিদ, হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা, খট্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাওসার রহমান, আলীহাট ইউপি চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান,বোয়ালদাড় ইউপি চেয়ারম্যান সদরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর আলম,উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিমুল হক। তাঁরাসহ আওয়ামী লীগের আরও ১১ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়।মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ৪ আগস্ট বেলা আড়াইটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবে হাকিমপুর পৌর শহরে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের নির্দেশে হাকিমপুর উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হাকিমপুর(হিলি )রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের কাছে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনে অংশ নেওয়া আসাদুজ্জামান নূর,নাফিজ, নাঈম হোসেন,মোস্তাকিম মেহেদী , মহিদুল ও বাবু আহম্মেদকে মারধর করতে করতে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যান। পরে আসাদুজ্জামান নূর ও নাঈম হোসেনকে পৌর মেয়র জামিল হোসেনের বাড়িতে টর্চার সেলে নিয়ে আটকে রাখে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। সেখানে তাঁদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের ফলে সেখানে আসাদুজ্জামান নূরও নাঈমের মৃত্যু হয়। পরে আসামিরা এ দুজনের লাশ গুম করার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লে গভীর রাতে নাফিজ, মোস্তাকিম মেহেদী, মহিদুল ও বাবু আহম্মেদ কৌশলে পৌর মেয়রের বাড়ি থেকে পালিয়ে যানএজাহারে আরও বলা হয়েছে, ওই তরুণেরা বিষয়টি আসাদুজ্জামানের পরিবারকে জানান। তখন তাঁর বড় ভাই মো. সুজনসহ স্থানীয় লোকজন পৌর মেয়রের বাড়িতে গিয়ে আসাদুজ্জামান ও নাঈমের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চান। বাড়িতে থাকা লোকজন ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিহত দুজনের অবস্থান বলেননি এবং তাঁদের বাড়িতে প্রবেশ করতে দেননি। পরদিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নিহত ঐ দুজনের মরদেহ পুড়িয়ে ফেলে হত্যার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বাড়িতে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌর মেয়র জামিল হোসেনের বাড়ি থেকে আসাদুজ্জামান ও নাঈমের মরদেহ উদ্ধার করে।হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল সকালে থানায় এসে মামলাটি করেছিলেন নিহত আসাদুজ্জামানের বড় ভাই। থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফুর রহমানকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট