স্টাফ রিপোর্ট :
হবিগঞ্জ শহরে বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় ভ‚য়া বাদি সেজে সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের আসামী করে থানায় মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে। এতে আসামীদের করা হচ্ছে নানা হয়রানী। এ বিষয়ে নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে ঘোষনা পত্র দিয়েছেন কাজী শামীম আহমেদ নামে এক ব্যক্তি। এতে তিনি উল্লেখ করেন শহরে বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি সংগ্রহ অজ্ঞাত ব্যক্তি এ মামলাটি দিয়েছেন।
এছাড়াও কাজী শামীম আহমেদ ওই মামলার বাদি নন দাবী করে আদালতে একটি হলফনামা দিয়েছেন। এদিকে, মামলার বাদী কাজী শামীম আহমেদের স্বাক্ষর যাচাই করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত বুধবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হলফনামা দিয়ে তিনি মামলাটি দায়ের করেননি জানালে বিচারক ফখরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। একইদিন মামলায় ১২ নম্বর আসামী মোঃ সনু মিয়া ও আমীর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আ: গনি জামিন আবেদন মঞ্জুর হয়।
বিষয়টি জেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে মামলার আসামীরা জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
এর আগে গত ১৮ জুলাই হবিগঞ্জ শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে ১৬ অক্টোবর সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন বলে পুলিশ জানায়।
এতে ৪২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও এক থেকে দুইশ’ জনকে আসামী করা হয়।
এর মধ্যে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি ও সমকাল প্রতিনিধি এম.এ আহমদ আজাদ,
সাংবাদিক মজিবুর রহমান ও
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার হাজী আমীর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গনি, এছাড়াও মামলায় তারেক মিয়া ওরফে চশমা তারেক, মেহেদি হাসান ফাহিম, হাবিবুর রহমান খান, বিপ্লব রায় চৌধুরী, মেহেদী হাসান ইশানসহ আরো অনেকেই আসামী রয়েছেন।
মামলার বাদি কাজী শামীম আহমেদে বলেন, আমি মামলা টি দায় করিনি- ভূয়া বাদী সেজে এই মামলা দায় করা হয়েছে- আমি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার বিষয় বলেছি!
দুস্কৃতিকারী দের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি!
আদালতের জিআরও আব্দুল কাদের বলেন, ‘বাদী কাজী শামীম আহমেদ বুধবার আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলাটি দায়ের করেননি জানালে তাঁর স্বাক্ষর যাচাইয়ের আদেশ দেন বিচারক।
পরবর্তী প্রক্রিয়ায় তাঁর স্বাক্ষর সংগ্রহ করে যাচাই করার জন্য হস্তরেখা বিশারদের নিকট পাঠানো হবে।’
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন শ্যাম বলেন, ‘শুনেছি বাদী আদালতে একটি হলফনামা দিয়েছেন। এতে কি উল্লেখ রয়েছে এবং আদালত কি আদেশ দিয়েছেন তা এখনও জানতে পারিনি’।