1. live@khaborerkantho.com : খবরের কণ্ঠ : খবরের কণ্ঠ
  2. info@www.khaborerkantho.com : খবরের কণ্ঠ :
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৫:০১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ইউপি চেয়ারম্যান!  মোহনগঞ্জে বিদ্যালয় থেকে সিলিং ফ্যান চুরি গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়া কবি সুকান্তের মৃত্যুবার্ষিকী গোয়াইনঘাটে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন! কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে মাদকদ্রব্যসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার!  বরুড়ার শাকপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত মানিকগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য ও সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম গ্রেপ্তার! আজমিরীগঞ্জে বজ্রপাতে একজন নিহত আজমিরীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে পলাতক আসামি গ্রেফতার! ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে প্রাণী ও শিশুসহ নিহত – ০৭, আহত -০১

বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে দুই প্রেমিকার অনশন।

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ মাহাবুবুর রহমান। ঝিনাইদহ(জেলা)প্রতিনিধি।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাগান্না গ্রামের শাহিন নামের এক তরুনকে বিয়ে করতে অনশন করেছে দুই তরুনী।
ইকরামুল হকের ছেলে শাহীনকে বিয়ে করার দাবীতে অনশন করে তারা।

জানা যায়, পার্শবর্তী হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের ঘোড়াগাছা গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে রুনা খাতুন বিয়ের দাবিতে শাহিনের বাড়িতে অবস্থান করে।

রুনা খাতুনের আসার খবরে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে সাদিয়া খাতুনও বিয়ের দাবীতে তার বাড়িতে আসে। এক যুবকের বাড়িতে দুই তরুনীর অবস্থানের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
প্রতিবেশীরা জানায়, দীর্ঘ দুই বছর ধরে রুনার সাথে শাহীনের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। তাদের দুই পরিবার তাদের বিয়েতে রাজিও ছিল। কিন্তু শাহিন ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ার পরে তার পরিবার তাদের বিয়েতে অস্বীকৃতি জানাই। এরপর রুনাকে পরিবার থেকে তার অমতে বিবাহ দিতে গেলে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে শাহীনের বাড়িতে এসে উঠে।

অন্যদিকে গত দুই মাস হলো সাদিয়া নামের আরেক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে শাহীনের। প্রেমিকের বিয়ের কথা শোনার পর সাদিয়াও তার বাড়িতে আসে বিয়ের দাবিতে। এমন ঘটনায় শাহীন ও তার পরিবারের উপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

প্রেমিকা রুনা বলেন, শাহিনের সাথে আমার দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক। আমাদের বিয়েতে দুই পরিবারই রাজি ছিল। কিন্তু শাহীন ধর্ষণ মামলায় আসামি হওয়ায় আমার পরিবার আর মেনে নেয়নি। শুক্রবার আমার বিয়ের জন্য পরিবার থেকে চাপ দেয়। আমি শাহিনকে ছাড়া অন্য কারো বিবাহ করবো না। একারণেই আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তার কারণেই আমি শাহিনের বাড়িতে আসছি। আমি ওকেই বিয়ে করবো। শহিন যদি ওই মেয়েকে বিবাহ করে আমার কোন সমস্যা নেই।

অন্য প্রেমিকা সাদিয়া খাতুন বলেন, শাহিনের সাথে দুই মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক। এর আগে শাহিন তাকে বিয়ের জন্য তার বাড়িতে আসতে বলে। আমি বাড়ি থেকে তার বাড়িতে আসি। তখন শাহিনের বাড়ির লোকজন ঝামেলা করাই সেদিন বিয়ে হয়নি। আজ আবার শাহিনের বাড়িতে আরেক মেয়ে আসছে বিয়ের দাবিতে। আমি তো ওকে ভালবাসি। আর শাহিন আমাকে বিয়ে করবে বলে কথা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রেমিক শাহিন বলেন, আমাকে বিয়ে করতে যে দুই মেয়ে আসছে। তাদের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক আগে ছিল কিন্তু এখন নেই। তবে তারা যেহেতু তাকে বিয়ে করতে বাড়িতে চলে আসছে, তাদের দুই জনকে বিয়ে করতে কোন আপত্তি নেই। সে দুইজনকেই বিবাহ করতে রাজি।

এ বঢাপারে হলিধানী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সন্তোষ কুমার জানান, রাতে সাদিয়া নামের ওই মেয়েটি তার বাড়িতে ফিরে গেছে। আর রুনাকে শাহীন বিয়ে করেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট