লুৎফর সিকদার- গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা দিদার হত্যা মামলায় গোপালগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সোহেল সিকদার ও সেনাবাহিনীর গাড়ি পোড়ানো মামলায় বঙ্গবন্ধু কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শাহনেওয়াজ খানকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। গত রবিবার(২২ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের হাসপাতাল এলাকা থেকে সোহেল সিকদারকে ও রাতে শহরতলীর ঘোষেরচর উত্তরপাড়া গ্রামের শাহনেওয়াজের বাড়ি থেকে এই দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (ওসি) মীর সাজেদুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল রবিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামী সোহেল সিকদার হাসপাতাল এলাকায় অবস্থান করছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এসময় গোপালগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সোহেল সিকদার ও শহরতলীর লতিফপুর ইউনিয়নের ঘোষেরচর গ্রামের বাড়ি থেকে সাবেক কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহনেওয়াজ খানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তাকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী স্ত্রী, সন্তান ও দলীয় নেতা–কর্মীদের নিয়ে টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী গ্রামের নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন।পথে সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা গাড়িবহরে হামলা চালায়। এসময় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শওকত আলী নিহত হয়। পরে মহাসড়কের পাশে থেকে দিদারের লাশ উদ্ধার হয়।
এ ঘটনায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর নিহত শওকত আলীর দিদারের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম (সেলিম), সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাজমা আক্তারসহ ১১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা দেড় হাজার জনকে আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।