উত্তম চাকমা,মহালছড়ি( প্রতিনিধি)ঃ
পাহাড়ীদের ঐতিস্যবাহী শীতে বাহারি রকমে পিঠা জমে উঠেছে মহালছড়ি সিঙ্গিনালা।
খাগড়াছড়ি জেলা মহালছড়ি সদর থেকে ১/২ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত মুবাছড়ি ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নে শীতে বাহারি রকমে পিঠা জমে উঠেছে সন্ধ্যা সময়ে সিঙ্গিনালা অলিগলিতে।
পহেলা জানুয়ারি বুধবার ২০২৪ খ্রীঃ ঘুরে দেখা যায় সিঙ্গিনালা, ক্যায়াংছ্যা পাড়া, হ্যাডম্যানপাড়াসহ প্রায় ৮/৯টি অস্হায়ী পিঠার দোকান। যেখানে মানুষ সমাগম সেখানে পিঠা বিক্রি দোকান। দেখা যায় পাহাড়ীদের ছোট একটি বাজারের নাম সিঙ্গিনালা এটি মুলত মুবাছড়ি ইউনিয়নে। এই ইউনিয়ন সদরে আছে সরকারি -বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয় বিকাল হলে মানুষের আনাগোনা স্কুল, কলেজ,অফিস, ছুটি হলে কৃষক ও মাছধরা জেলেদের ঘর মুখী মানুষের সূর্যে হাঁসি দিয়ে যায় লাল শিক শিক সূর্য মামা । এই সময়ে মহালছড়ি সদর থেকে অস্হায়ী দোকানদারে রা শীতে কাপড় ও সবজি বিক্রি করতে আছে সিঙ্গিনালা। এই সিঙ্গিনালা মানুষের ভিড় জমাই ৪.০ টা থেকে ৬.০টা সময়ে । এই সিঙ্গিনালা বাজারে পাওয়া যায় রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদের নানান রকমে টাটকা মাছ ও টাটকা শাক সবজি । সিঙ্গিনালা এলাকাটি মুলত মারমাদের গণবসতি বসবাস। দেখা যায় শীতে সময়ে বাহারি রকমে পিঠা এবং অস্হায়ী শীতের পিঠার দোকান।
শীত বা নবান্ন আসলে বুঝা যায় পাহাড়িদের পিঠার ঘ্রাণ মৌ মৌ করে। চাকমা,মারমা, ত্রিপুরাদের রং বে রঙের পাহাড়ীদের ঐতিহ্যবাহী পিঠা। পিঠা প্রধানত সব মৌসুমে তৈরি করে (বানাই) শীত মৌসুমে আসলে একটু বেশি বা আমন ধান ঘরে তোলা পরে পিঠা উৎসব চলে ঘরে ঘরে।আর এটি ঘরে বানানো ঝামেলা এড়াতে বর্তমানে এখন বানিজ্য ভাবে বক্রি করছে।
পিঠা বিক্রিটা মিসঃ রেজি মারমা(জলিপ্র্ মা) জানান শীতের পুরো সময় জুড়ে পিঠা বিক্রি করি। বাহারি স্বাদের পিঠা প্রতিটি পিঠা দাম,৫ টাকা ১০ টাকা। আমার এখানে পিঠা বানাচ্ছি ভাপাপিঠা, পাটিসাপটা, শীতলপিঠা,ভরা পিঠা। অনেক সময় হাজার ১২ শত টাকা বিক্রি হয়।
পিঠা খেটে আসা একজনের সাথে কথা হয় জ্যোতি বসু চাকমা (৩৫) বলেন পিঠা আমার খুব প্রিয় এখানে সকাল ও সন্ধ্যায় সময়ে রংবে রং শীতের পিঠা। বাড়িতে পিঠা বানানো ঝামেলা। ঝামেলা এড়াতে দোকানে খেটে আছি। শীত আসলে বুঝা যায় গায়ে গরম কাপড় জড়িয়ে ভাপা পিঠা খেটে সঙ্গে ছেলেটাকে নিয়ে আছি। ার বলেন আমাদের পাহাড়িদের নানান রকমে পিঠা আছে যেমন – ভাপাপিঠা, পাটিসাপটা, শীতলপিঠা, পুলিপিঠা , সানন্য পিঠা, বিনিপিঠা,ভোরাপিঠা,বিনি হগা ও কলাপিঠা আরও কত নাম। শীতের সময় বিকাল হলে বাহারি রকমে পিঠা জমে উঠে সিঙ্গিনালা বাজার।
পিঠা বিক্রিটা উক্রেমা মারমা(কালাবি মা) বলেন, আমার স্বামী দোকানে সামনে শীতের পিঠা বিক্রি করি কিছু আয়ের আশাই । আমার স্বামী ফার্নিচার দোকানে সামনে পিঠা বানাই। পিঠা রসিকরা দোকানে ভিড় জমলে এসময় আমার স্বামী ও সাহায্য করে ভালোই বেচা কেনা হচ্ছে। তেমন কোন পরিশ্রম নেই শীতের সময় গায়ের কাপড় না দিলে ও চলে পিঠার মান ও স্বাদ অক্ষুন্ন রাখতে চেষ্ঠা করি। ভাপাপিঠা, পাঠিচাপ্টা, আরও বলেন পিঠা বিক্রি করে প্রতিদিন আট/ নয় শত টাকা রোজগার হয়। আমার পিঠা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।