1. live@khaborerkantho.com : খবরের কণ্ঠ : খবরের কণ্ঠ
  2. info@www.khaborerkantho.com : খবরের কণ্ঠ :
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন

মোহনগঞ্জে নিষিদ্ধ জালে মাছ শিকার, হুমকিতে দেশি মাছ।

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

 

আরিফুল ইসলাম
মোহনগঞ্জ (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি।

একসময় নেত্রকোণার মোহনগঞ্জের একমাত্র বৃহত্তম হাওর ডিঙিপোতা ছিল মাছের রাজ্য। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে এখান থেকে বিপুল পরিমাণ মাছ চলে যেত রাজধানী-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে সেই চিত্র।

ডিঙ্গাপোতা হাওরে নিষিদ্ধ‘খনা জাল’ ব্যবহার করে অবাধে চলছে মাছ শিকার। এতে দেশীয় মাছের পনা অস্তিত্ব মারাত্মক হুমকিতে পড়েছে।

দেশি মাছ ধংশের সম্ভাবনার দুয়ার হাওর। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত জেলার ২৫ বর্গ কিলোমিটার নিয়ে হাওর এলাকা। মিঠা পানির মাছের ৮০ শতাংশ আসে হাওর এলাকা থেকে। আমিষের অভাব পূরণের একটি প্রাণীজ উপাদান হলো মাছ। মাছেভাতে বাঙালি। বাঙালির রসনা তৃপ্ত করতে মাছের জুড়ি নেই। খাবারের থালায় মাছ না থাকলে যেন উদরপূর্তি হয় না বাংঙ্গালীর।

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জের হাওর-বাঁওড়ের একটি বড় জলাশয় হলো ডিঙ্গাপোতা হাওর। এটি দেশি প্রজাতির মাছের এক বড় হাওর। কিন্তু বর্তমানে এ হাওর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশি প্রজাতির অনেক মাছ। যেমন মেনি, লাটিয়া, নানিদ, রানী, গলদা, চিংড়ি, খলিশা, বইচা, বাচা, মলা, ঢেলা, খাইখ্যা, চাউট্ট্যা বিশেষ করে মূল্যবান বোয়াল মাছের পোনা ব্যাপক হারে শিকার করা হচ্ছে। এমনসব মাছের প্রজাতি প্রায় বিলুপ্ত। এসব মাছের মধ্যে কিছু কিছু প্রজাতির মাঝেমধ্যে দেখা মিললেও অনেকগুলো একেবারে নিঃশেষ। হাওর বাঁওড়ে দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির প্রধান কারণ নির্বিচারে পোনা নিধন। এক শ্রেণীর মানুষ এসব জলাশয়ে চায়না বাইর, দুয়ারি জাল, খনা জাল, কারেণ্ট জাল দিয়ে মা মাছ, পোনা মাছ নিধন করছেন। ফলে অঙ্কুড়ে বিনষ্ট হচ্ছে অনেক প্রজাতির মাছ। (৬ জুলাই) রোজ রোববার সরজমিনে গিয়ে দেখাযায় খনা জাল দিয়ে হাওরে মাছ ধরাতেছে জানতে চাইলে ডিঙ্গাপোতা হাওর জনপদের স্থানীয়রা বলেন, সন্ধ্যা হলেই হাওরে খনা জালের হিড়িক পরে। তারা প্রতি রাতে ধ্বংসাত্মক খনা জাল ব্যবহার করে হাওরের বিপুল পরিমাণ মাছ ধরছে। খনা জাল এমন একটি জাল এর ভিতরে ছোট বড় সব ধরনের মাছেই উঠে। হাওর-বাঁওড়ের দেশি মাছ এখন আর আগের মতো পাওয়া যাচ্ছে না।

মোহনগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বলেন, খনা জাল দিয়ে অবৈধভাবে মাছ ধরার বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ জাল দিয়ে মাছ ধরা দেশের মৎস্য আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ও অবৈধ। তাছাড়া এ জাল দিয়ে পোনা মাছ ধরা মাছের প্রজনন ব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে। যারা অবৈধ জাল দিয়ে পোনামাছ ধরছে তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে অচিরেই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

ছবিঃ জাল দিয়ে মাছ ধরা জেলেরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট