মো রাজু আহমেদ (রাজশাহী) জেলা প্রতিনিধি
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুল ধারার আদর্শিক ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন প্রার্থীদের প্রাধান্য দেবে বিএনপি।স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, রাজশাহী-১ আসনে মুল ধারার আদর্শিক, পরিচ্ছন্ন ও বিতর্কমুক্ত ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন নেতৃত্ব হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সামরিক সচিব ও রাজনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিন। তৃণমূলের
নেতাকর্মীরা বলছে,রাজশাহী-১ আসনে অপ্রতিদন্দী নেতৃত্ব প্রয়াত ব্যারিষ্টার আমিনুল হক পরিবারের বাইরে কেউ মনোনয়ন পাবেন সেটা তারা কল্পনাও করে না। তাই তারা ব্যারিস্টার আমিনুলের পরিবারকে নিয়ে মুলত নির্বাচনী কৌশল ও ছক আঁকছেন।
সুত্র জানায়,ইতমধ্যে বিএনপি মাঠপর্যায়ে
আদর্শিক,নিবেদিতপ্রাণ ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন প্রার্থীর সন্ধানে মাঠে নেমেছেন। বিগত ১৭ বছর যারা নানা কৌশলে আওয়ামী লীগে অর্থের যোগান দিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা রেখে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ ও নিজের পাশাপাশি ব্যবসা-বানিজ্য নিরাপদ রেখে বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন।কিন্ত্ত গণঅভ্যুত্থানের পর আবার খোলস পাল্টিয়ে রাতারাতি বিএনপি নেতা সেজে মাঠ নামতে চাইছে বা নেমেছে বা যাদের রাজনৈতিক জীবনটাই পালাবদলের এমন নেতারা কোনোভাবেই বিএনপির দলীয মনোনয়ন পাবেন না বলে তৃণমুল নেতাকর্মীদের মাঝে জোর আলোচনা চলছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে এমন আলোচনা বা প্রচারের পর পরই কারো কারো চোখে মুখে হতাশার ছাপ ফুটে উঠেছে। কেউ মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছে, কারো মাঠ ছাড়া এখন সময়ের ব্যাপার বলে মনে করছে তৃণমুল
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপি করার অপরাধে মেজর জেনারেল শরীফ উদ্দিনকে স্বাভাবিক অবসর এর আট বছর পুর্বে জোর করে অবসরে পাঠানো হয়। তার অপরাধ তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সামরিক সচিব ছিলেন এবং তার ভাই রাজশাহী অঞ্চলের গৌরব অপ্রতিদন্দী নেতৃত্ব ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন প্রয়াত ব্যারিষ্টার আমিনুল হক। কিন্ত্ত আওয়ামী লীগ তাকে নানা কৌশল অবলম্বন করেও দলে ভেড়াতে ব্যর্থ হয়ে, মেয়াদপূর্তির অনেক আগেই অবসরে পাঠায়।
সুত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের একই সময়ে অনেকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহীর সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাসান মাহমুদ এবং সাবেক স্বরাস্ট্র মন্ত্রী সাহারা খাতুনের সঙ্গে সখ্যতা বজায় রেখে ব্যবসা-বাণিজ্যে সম্প্রসারণ করেছেন। এমনকি আওয়ামী লীগের সাবেক স্পীকার শিরিন শারমীনের কাছে থেকে পরিবারসহ পদক নিয়েছেন। এদিকে তৃণমুলের নেতাকর্মীরা বলছে, তারা আর যাইহোক বিএনপির আদর্শিক নেতৃত্ব হতে পারে না,আর দলীয় মনোনয়নের তো প্রশ্নই আসে না। কারণ তারা যদি প্রকৃত পক্ষে বিএনপির আদর্শ বুকে ধারণ বা বিএনপির আদর্শের সৈনিক হতো, তবে ইচ্ছে করলে টাকা পয়সা খরচ না করে আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছ থেকে এসব লোক দেখানো হাস্যস্কর পুরস্কার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে পারতো। এই শ্রেণীর মানুষ এখন যদি দলীয় মনোনয়ন পায় তবে বুঝতে হবে বিএনপি রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, দলের ভিতর এবং বাইরের নানা ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার, প্রতিহিংসা ও গুজবের বহু অন্ধকার গলিতেও তিনি পথ হারাননি এবং গতানুগতিক রাজনীতির স্রোতে গা ভাসিয়ে দেননি।নিজস্ব, স্বকীয়তা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন অমায়িক ব্যবহার ও প্রচণ্ড সাহসী নেতৃত্বের লৌহমানব তিনি রাজনীতির সীমানা অতিক্রম করে ধীরে ধীরে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার পুরুষে হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার প্রতি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার যে বহিঃপ্রকাশ দেখা গেছে তাতে তিনি না চাইলেও তানোর-গোদাগাড়ীর মানুষ তাকেই তাদের নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছে, এখানে তার কোনো বিকল্প নাই। কারণ সাধারণ মানুষের নিখাদ ভালবাসার চেয়ে বড় কোন শক্তি নাই। অন্যরা রাজনীতি করে যেখানে পৌঁছাতে চাই,সেখান থেকেই শরিফ উদ্দিনের রাজনীতি শুরু। তার যে পারিবারিক ঐতিহ্য, সামাজিক মর্যাদা,ব্যক্তি অর্জন তাতে রাজনীতি থেকে তার নেয়ার কিছু নেই, তবে দেবার অনেক কিছুই রয়েছে।