মোঃ কামাল হোসেন প্রধান জেলা প্রতিনিধি নরসিংদী ঃ
নরসিংদীর রায়পুরা থেকে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ১৭ মামলার পলাতক আসামী তৈয়বকে তার দুই সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছেন নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি) । অদ্য ১৮ আগষ্ট সোমবার সকালে ডিবির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে তৈয়বুর রহমান ওরফে তৈয়ব (২৫), একই গ্রামের রুসমত আলীর ছেলে সেলিম মিয়া (২৪) ও করিমগঞ্জ গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে শিপন মিয়া (২০)। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৭০ পিস ইয়াবা ও বিপুল পরিমাণ গানপাউডার উদ্ধার করা হয়। ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির ওসি আবুল কায়েস আকন্দের নেতৃত্বে উপপরিদর্শক জামিরুল ইসলাম, মোবারক হোসেন,ওবায়দুল্লাহ ও সহকারী উপপরিদর্শক দীপক কুমার সাহা সহ সঙ্গীয় ফোর্সের সমন্বয়ে গঠিত ডিবির একটি চৌকস টিম নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন এর বালুয়াকান্দি গ্রামের খাদিজা বেগম নামে এক মহিলার পরিত্যক্ত দোচালা একটি ঘরের ভিতর অভিযান চালিয়ে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ১৭ মামলার পলাতক আসামী তৈয়ব ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন । এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট ও হাতবোমা তৈরির গানপাউডার উদ্ধার করা হয়। ডিবির ওসি আবুল কায়েস আকন্দ,গ্রেফতারকৃত তৈয়বুর রহমান ওরফে তৈয়ব পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে ৪টি হত্যা, অস্ত্র, মাদক সহ বিভিন্ন থানায় ১৭টি মামলা রয়েছে। তাকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট দীর্ঘদিন ধরে নজর ধারীতে ছিলেন। তিনি আরও বলেন, নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল হান্নান এর নির্দেশে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলেও তিনি জানান। পরে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া ও নরসিংদীর পাঁচদোনা ১৭/৮/২৫ ইং রবিবার দিবাগত রাতে জুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও সিএনজি স্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা পুলিশের সামনেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সংঘর্ষে দফায় দফায় সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধ ও পাঁচজন আহত হয় । রাত্র প্রায় বারোটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন পুলিশ। সংঘর্ষে আহত সাত জনের মধ্যে প্রাথমিকভাবে দুইজনের নাম জানা যায়। এরা হলেন পাঁচদোনা এলাকায় তাজুদ্দিনের ছেলে হামিদ মিয়া (২৮) এবং বিল্লাল মিয়ার ছেলে হান্নান মিয়া (২৮) । বাকি পাঁচজন কে গুরুত্বের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।