শামীম আহমদ সিলেট জেলা প্রতিনিধি।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে যেন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ চার চাকার মাহিন্দ্রা (ট্রাক্টর)। এদের দাপটে পথচারী, স্কুলগামী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও সড়কে চলাচল করছে আতঙ্কের মধ্যদিয়ে। সড়কে চলাচলের জন্য তাদের কাগজপত্রতো দূরে থাক, লাগেনা কোনো অনুমতি কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স। বেশিরভাগ মাহিন্দ্রা চালায় অপ্রাপ্ত বয়সের কিশোর ছেলেরা।
গত কয়েকদিন জাফলং, লুনি, রাধানগর, হাদারপাড় ও বঙ্গবীরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অলিতে গলিতে এমনকি মেইন সড়কে নিয়ন্ত্রণ বিহীনভাবে চলাচল করছে মাহিন্দ্রা (ট্রাক্টর)। অনুমোদনহীন এসব পরিবহনগুলো মূলত নিৰ্মাণসামগ্রী, বালু, পাথর, ইটভাটার মাটি সংগ্রহ, ইট সরবরাহ ও ভাটায় পোড়ানোর জন্য কাঠ সংগ্রহ করার কাজে ব্যবহার করা হয়।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে যেন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ চার চাকার মাহিন্দ্রা (ট্রাক্টর)। এদের দাপটে পথচারী, স্কুলগামী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও সড়কে চলাচল করছে আতঙ্কের মধ্যদিয়ে। সড়কে চলাচলের জন্য তাদের কাগজপত্রতো দূরে থাক, লাগেনা কোনো অনুমতি কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স। বেশিরভাগ মাহিন্দ্রা চালায় অপ্রাপ্ত বয়সের কিশোর ছেলেরা।
গত কয়েকদিন জাফলং, লুনি, রাধানগর, হাদারপাড় ও বঙ্গবীরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অলিতে গলিতে এমনকি মেইন সড়কে নিয়ন্ত্রণ বিহীনভাবে চলাচল করছে মাহিন্দ্রা (ট্রাক্টর)। অনুমোদনহীন এসব পরিবহনগুলো মূলত নিৰ্মাণসামগ্রী, বালু, পাথর, ইটভাটার মাটি সংগ্রহ, ইট সরবরাহ ও ভাটায় পোড়ানোর জন্য কাঠ সংগ্রহ করার কাজে ব্যবহার করা হয়।
এসব অবৈধ চার চাকার মাহিন্দ্রা (ট্রাক্টর) এর চালক অদক্ষ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বেপরোয়া গতির কারণে বিভিন্ন সড়কে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এতে করে প্রাণহানীর ঘটনাসহ অনেকেই পঙ্গুত্ববরণ করছে ও জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে নতুন সড়কে এই মাহিন্দ্রা ট্রাক্টর চলাচল করায় অল্পদিনের মধ্যে রাস্তা ক্ষতবিক্ষত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে।
আমির মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এর সিনিয়র শিক্ষক (ইংরেজি) মো: রুহুল আমিন বলেন, প্রতিদিন অগনিত রেজিষ্ট্রেশন ও টেক্সটোকেন বিহীন ট্রাক্টর অবৈধ পণ্য নিয়ে দেদারসে বেগতিক ভাবে রাস্তায় চলছে। এতে করে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। এসব ড়্রাইভারদের নেই কোন লাইসেন্স, নেই কোন প্রশিক্ষণ। তাদের গাফিলতির কারনে সাধারণ জনগন হারাচ্ছে তাদের অমূল্য প্রাণ। নয়তোবা পঙ্গুত্ব বরণ করে অন্যের বোঝা হচ্ছেন।
আমরা জনগন ট্রাক্টটরের চাপায় পড়ে মরি তাতে কার কি আসে যায়? এগুলো নিয়ে প্রশাসন ও পুলিশের কাজ করার কথা কিন্তু উনারাইতো সকল অপকর্মের হোতা! উনারা আমাদের সোনার বাংলার প্রশাসন ও পুলিশ বলে কথা!
মধ্য জাফলং ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, মাহিন্দ্রা ট্র্যাক্টর’র লাগামহীন গতির কাছে অসহায় সাধারণ পথচারীরা। এসব চালকদের নেই প্রশিক্ষন। তারা মন মতো রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে ছুটে চলে। সড়কে মাহিন্দ্রার প্রতিযোগিতা দেখলে মনে হয় তারাই রাস্তার রাজা। তাদের গতির কাছে যেন অসহায় সব যানবাহন। মেইন রোড থেকে অলি গলিতে বেপরোয়া গতিতে ছুটে চলাই যেন তাদের প্রধান কাজ। এসব অনিবন্ধিত ট্রাক্টর গুলো মেইন রোডে চলাচলের অনুমোদন নেই, তারপরও তারা কিভাবে কাগজ ও লাইসেন্স বিহীনভাবে রাস্তায় চলাচল করে? আর কোন মায়ের বুক খালি হওয়ার আগেই এ বিষয়ে প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাই।
গোয়াইনঘাট উপজেলা পশ্চিম ট্রাক চালক উপ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন বলেন, আমরা বারবার প্রশাসনের কাছে অনিবন্ধিত যানবাহন ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে আসছি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টার দিকে গোয়াইনঘাট-রাধানগর সড়কের আলমনগর এলাকায় দ্রতগামী একটি মাহিন্দ্রা ট্রাক্টরের ধাক্কায় আশরাফুল আলম হৃদয় (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সাব্বির আহমেদ নামে অপর আরেকজন গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ মাহিন্দ্রা ট্রাক্টরের চালক ১৫ বছরের কিশোর সজিব আহমদকে আটক করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কবির হোসেন বলেন, প্রায়ই আমাদের পক্ষ থেকে কাগজ বিহীন মাহিন্দ্রাসহ (ট্রাক্টর) সকল যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। লাইসেন্স ও কাগজ ছাড়া কোনো যানবাহন রাস্তায় চলাচল করতে পারবে না।
গোয়াইনঘাটের ইউএনও রতন কুমার অধিকারী বলেন, গোয়াইনঘাটের সড়ক গুলোতে সরকারী অনুমোদনহীন যে যানবাহন রাস্তায় চলাচল করছে, তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং কাগজ বিহীন গাড়ি ও লাইসেন্সবিহীন চালকের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।