তানোরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
মো রাজু আহমেদ (রাজশাহী) জেলা প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ নেয়া ভুয়া শিক্ষকের দৌরাত্ম্যে স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
তানোর উপজেলার ১নং কলমা ইউনিয়নের পিঁপড়া কালনা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মাহবুর রহমান (৪৮)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার খিকটা গ্রামের মৃত আব্দুল জাব্বারের ছেলে।
১৪- অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকালে দরগাডাঙা স্কুল কলেজের সাবেক সভাপতি ও পিঁপড়া কালনা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মজিবুর রহমান সরকার বাদি হয়ে, কথিত প্রধান শিক্ষক মাহাবুর রহমানের বিরুদ্ধে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এছাড়াও বিকেলে অভিযুক্ত মাহাবুর রহমানের শাস্তির দাবিতে গ্রামবাসি দরগাডাঙা স্কুল এ্যান্ড কলেজ চত্ত্বরে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ করেছে। এঘটনায় গ্রামবাসির মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগে উল্লেখ ভুয়া শিক্ষক মাহাবুর রহমান পিঁপড়া কালনা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোনো পদে নাই। অথচ ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের পর নিজেকে প্রধান শিক্ষক দাবি করে অস্বাভাবিক অবস্থায় মাঝে, মাঝে বিদ্যালয়ে এসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, ভয়ভীতি, ছুরি-চাকু নিয়ে সহকারী শিক্ষকদের মারপিটের হুমকি, এমনকি বিদ্যালয় দখলের হুমকি দিচ্ছে। স্কুলের সাধারণ শিক্ষক ও অভিভাবকগণ, কথিত প্রধান শিক্ষক মাহাবুর রহমানের কাছে নিয়োগপত্র দেখতে চাইলে, তিনি তাদের সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে নিয়োগপত্র দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করে, নানা হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়েছেন।
অভিভাবকগণ জানান, মাহাবুর রহমান ভুয়া ও জাল কাগজপত্র তৈরি করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। যেখানে ২০০২ সালে সভাপতি হিসেবে মজিবুর রহমান সরকারের জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে নিয়োগ ও যোগনদানপত্র দেখানো হয়েছে।অথচ ২০০২ সালে মজিবুর রহমান সরকার পিঁপড়া কালনা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ছিলেন না।
স্থানীয় অভিভাবক সাফিউল ইসলাম ও আব্দুর রহমান বলেন, বিগত ২০০২ সালে মাহাবুর রহমান প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বলে দাবি করেন।কিন্তু গ্রামবাসি তাকে কখানো স্কুলে আসতে দেখেনি। অথচ জুলাই বিপ্লবের পর তিনি নিজেকে প্রধান শিক্ষক দাবি করে, মাঝে মাঝে স্কুলে এসে নানা অপতৎপরতা করছে।
অভিভাবকগণ বলেন, অভিযুক্ত মাহাবুর রহমানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া না হলে তারা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মাহাবুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে বৈধভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, কিন্তু তাকে সরিয়ে দিতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আফজাল হোসেন বলেন, অভিযোগ হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।