
মীর দুলাল।। হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার কাইঞ্জা বিল দখলকে কেন্দ্র করে আবারও উত্তেজনা ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে টানা তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লাখাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আলহাজ্ব আরিফ আহমেদ রুপনের অনুসারী এবং শিবপুর গ্রামের বিএনপি নেতা হারিছ মিয়ার অনুসারীদের মধ্যে কাইঞ্জা বিল দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
কয়েকদিন আগে রাতের আঁধারে টর্চের আলোতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যাতে বহু লোক আহত হন। এরই জেরে সোমবার সকাল থেকে উভয় পক্ষ পুনরায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি হলে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে কাইঞ্জা বিল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। গুলিবর্ষণ, ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে দুই গ্রামের অন্তত পঞ্চাশজন আহত হন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন তাহের মিয়া (৪০), সাগর মিয়া (২৫), ইব্রাহিম মিয়া (৪০), তাজউদ্দিন, মিরাজ মিয়া (৪০), রশিদ মিয়া (৩৯), জাহাঙ্গীর মিয়া (৩০), জামাল মিয়া (৪০)সহ আরও অনেকে।
আহতদের লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়, এর মধ্যে গুরুতর আহত কয়েকজনকে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর হয়েছে এবং এখনও দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, পরিস্থিতি আবারও সহিংস হয়ে উঠতে পারে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) কৃষ্ণ চন্দ্র মিত্রের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি জানান, “পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এলাকায় অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন রয়েছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে টহল জোরদার করা হয়েছে।”