
মীর দুলাল।। বাহুবল উপজেলার রূপাইছড়া রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফআইডিসি) কর্মকর্তা-কর্মচারী শ্রমিকবৃন্দ যৌথভাবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর একটি বিস্তারিত লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন। আবেদনে অভিযোগ করা হয় ব্যবস্থাপক মনিরুল ইসলাম বিভিন্ন খাত দেখিয়ে গত কয়েক বছরে “নামে-বেনামে অগ্রিম উত্তোলন, ভুয়া বিল ভাউচার, জাল স্বাক্ষর এবং প্রকৃত কাজ না করিয়ে বাজেটের বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ” করেছেন। এতে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি ছাড়াও বাগানের উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনায় চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আনুষঙ্গিক খাত, পূর্ণ বাগান, পুনর্বাসন বাগান, ট্রাক্টর মেরামত, রেই-হাউস মেরামত, পানি লাইন, বাসাবাড়ি মেরামতসহ বিভিন্ন খাতে মোট কয়েক কোটি টাকার অনিয়ম-আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া পূর্ববর্তী অর্থ বছরগুলোতেও এফএস সুজন মিয়াসহ কয়েকজন কর্মচারীর নামে “অস্বাভাবিক পরিমাণ টাকা উত্তোলন” ও “ভুয়া খাত দেখিয়ে বার্ষিক বাজেট খরচ” করার তথ্য আবেদনে স্থান পায়। অভিযোগে বলা হয়, বাগানে আগুন প্রতিরোধে ফায়ার-লাইন ও ফায়ার-ওয়াচার নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে কোনো লোক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অথচ তিন বছর ধরে এসব খাতে প্রায় ৮ লাখ টাকা বিল করা হয়েছে। অভিযোগকারী অনেকে জানান ফায়ার-ওয়াচারের অনুপস্থিতির কারণে ২০২৪ সালে প্রায় ১২০ একর নতুন বাগান আগুনে পুড়ে যায়। বাগানের শ্রমিকদের দাবি ব্যবস্থাপক ইচ্ছাকৃতভাবে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অফিস আদেশ ও জরিমানা আরোপ করেন। পরে জরিমানা মওকুফের নামে প্রতি মাসে ৩০/৪০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়া হয়। দুদকে পাঠানো আবেদনে বলা হয়, ব্যবস্থাপক মনিরুল ইসলাম গত কয়েক বছরে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২ কোটি টাকার বেশি মূল্যের জমি ও বাড়ি ক্রয় করেছেন, যা তার বেতন ও পরিচিত আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এছাড়া তার বাবা একজন সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা, যিনি “আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে চাকরি হারিয়েছিলেন” আবেদনে এমন দাবিও করা হয়েছে। আবেদনকারীরা জানান, ব্যবস্থাপক মনিরুল ইসলাম নিজ