
শামীম আহমদ, জেলা প্রতিনিধি।
সিলেটের গোয়াইনঘাটে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও সিলেট-৪ আসনের বিএনপি মনোনয়নপ্রত্যাশী হেলাল উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে এক বিশাল গণসমাবেশ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজ মাঠ দলে দলে মিছিল সহকারে গোয়াইঘাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গন এই গণসমাবেশে অন্তত ১০ সহস্রাধিক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
গণমিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেলাল উদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপির ৩১ দফা হলো এই দেশের অত্যাচারিত, নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সনদ। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিলে রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের এই দফাগুলো বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে একটি ন্যায্য, গণতান্ত্রিক ও জনগণনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
তিনি প্রবাসী, ব্যবসায়ী, শ্রমিক, আলেম সমাজ ও নারী সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিএনপি সব সময় জনগণের পাশে ছিল এবং থাকবে। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার, ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষা ও আলেম সমাজের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ।
জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে এবং সিলেট জেলা ওলামা দলের সদস্য সচিব মাওলানা কামাল উদ্দিনের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জৈন্তাপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইলিয়াছ হোসেন প্রমুখ। এ সময় সিলেট মহানগর কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক সুলেমান ছিদ্দিকি, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কয়েছ আহমদ, গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি লোকমান উদ্দিন, জেলা যুব দলের সদস্য খলিলুর রহমান, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ আহমদ, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য কামাল আহমদসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
হেলাল উদ্দিন আহমদ বলেন, তারেক রহমান শুধু একজন নেতা নন, তিনি সংগ্রাম ও আশা’র প্রতীক। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে অবিচলভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
নিজ এলাকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমার ব্যক্তিগত কোনো লোভ বা স্বার্থ নেই। আমার একমাত্র লক্ষ্য এই এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণ। জৈন্তাপুরে গ্যাস থাকা সত্ত্বেও এখানকার মানুষ সেই সম্পদ থেকে বঞ্চিত। পর্যটন খাতেও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। মানুষ কাজের সন্ধানে অন্য জেলায় ছুটে বেড়াচ্ছে — এটি আমাদের ব্যর্থতার চিত্র। যদি দল আমাকে মূল্যায়ন করে, ইনশাআল্লাহ আমি সব পরিবর্তনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
তিনি আরও বলেন, একসময় মিছিল-মিটিংয়ে সামনের সারিতে নেতার অভাব ছিল, এখন সেই অভাব নেই। আমি দলের জন্য দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছি আশা করি দল সে অনুযায়ী আমাকে মূল্যায়ন করবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে হেলাল উদ্দিন বলেন, তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়িত হলে দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে— যেখানে জনগণের ভোটে সরকার গঠিত হবে, প্রশাসন জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকবে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিটি কণ্ঠস্বর হবে মুক্ত।
তিনি আরও জানান, আমি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেও দলের সিদ্ধান্তই সর্বাগ্রে। ধানের শীষ প্রতীক যার হাতে যাবে, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তার পক্ষে কাজ করব।
গণসমাবেশ শেষে হেলাল উদ্দিন আহমদ উপস্থিত প্রায় ১০ সহস্রাধিক নেতাকর্মীর সামনে ধানের শীষের বিজয়ের অঙ্গীকার করান এবং তারেক রহমান ঘোষিত বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ করেন।