এ কে আজাদ || সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি: দৈনিক খবরের কন্ঠ পত্রিকা||
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় লাইনম্যানদের দৌরাত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষ করে উপজেলার সীমান্ত এলাকা গুলোতে লাইনম্যানদের ত্রাসের রাজত্ব চলছে।
এই লাইনম্যান নামক চাঁদাবাজরা দৈনিক লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য করছে।
এদের যন্ত্রণায় অতিষ্ট সীমান্ত এলাকার শান্তিকামী মানুষজন।
সীমান্ত প্রশাসন কর্তৃক চোরাচালান প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করার পরও বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে, বিজিবির চোখে আঙ্গুল দিয়ে, দাপটের সহিত ভারত থেকে ঢুকছে বাংলাদেশে চোরাচালান, এই মাফিয়া চক্রের সদস্যরা প্রতি রাতে কিংবা দিনে ১২০০ টাকা করে বিজিবির নাম ভাংগিয়ে চাঁদা আদায় করছে!
অবৈধভাবে সরকারের ট্যাক্স ফাকি দিয়ে উপজেলার ১৩ নং বিছনাকান্দী সীমান্তে, ৬১/৬২ নং পিলার এলাকায় উপর দমদমিয়া, পাহারতলি ও ভিতরগুল নামক স্থান দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসতেছে, কোটি কোটি টাকার, গরু,মহিষ, চিনি,অস্ত্র , কক্সমাটিক্স, মাদক, বিভিন্ন ব্রান্ডের স্মার্ট ফোন, মোটরসাইকেলসহ, ইত্যাদি মালামাল ।
এসব চোরাচালানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কথিত বিজিবির লাইনম্যান নামে পরিচিত, চাঁদাবাজ, মাফিয়া গ্যাং চক্রের সদস্যরা।
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে ঢালাও ভাবে চলে এই অবৈধ চোরাচালান বাণিজ্য।
এসময় আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীরা জড়িয়ে পড়েন এই অনৈতীক কর্মকান্ডে।
কিন্তু পেক্ষাপট পরিবর্তন হয়ে ছাত্র-জনতা আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে স্বৈরাচার হাসিনা গদি ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গেলে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শুরু হয় দেশের সর্ব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহীতা, অনিয়ম-দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্য সহ অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধে কঠোর নজরদারি।
এর অংশ হিসেবে সমগ্র দেশের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায়ও চলছে নিয়মিত অভিযান।
কিন্তু কোন ভাবেই থামছেনা চোরাচালান বাণিজ্য। পূর্বে এসকল উপজেলা সমুহের সীমান্ত এলাকায় নেতৃত্ব দিতো আওয়ামী লীগের দোসররা কিন্তু এই দমদমিয়া ক্যাম্প এলাকায় এখনো দাপটের সহিত নেতৃত্ব দিচ্ছে সেই আগের, পুরাতন লাইনম্যানরা
তাদেরকে নেতৃত্ব দিয়ে সহযোগিতা করতেছে সীমান্ত এলাকার অসাধু অর্থ পিপাষু নামধারী নেতা-কর্তারা।
স্থানীয় সুত্র থেকে জানাযায়,তারা বিজিবি লাইন পরিচালনা করে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।
এলাকায় তাদের খুব প্রভাব।
তাদেরকে কেউ ভয়ে কিছু বলতে পারে না, তাই তাদের দিন দিন চাঁদাবাজি বেড়েই চলছে। এলাকার স্থানীয় কেউ কিছু বললে তাদেরকে দেওয়া হয় বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি এমন কি প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখানো হয়।
এবিষয়ে দমদমিয়া ক্যাম্প কমান্ডারের মোঠুফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি নতুন ও তাদের কথা শুনছি অনেকজন বলছে আমাকে।
কিন্তু আমি তাদেরকে হাতেনাতে ধরতে পারতেছি না বিষয়টি দেখতেছি
এই বলে মুঠোফোনে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
সচেতন মহলের দাবি খুব দ্রুত এসব চোরাচালান প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবেন প্রশাসন।