এ কে আজাদ || সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি:
দৈনিক খবরের কন্ঠ পত্রিকা||
সিলেটের গোয়াইনঘাট দমদমীয়া সীমান্তে বিজিবি সদস্যর ওপর চোরাকারবারিদের হামলায় ঘটনার , এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে ষড়যন্ত্র মূলক মামলা হয়েচে যার গরু নামাতে গিয়ে বিজিবির সাথে মারধর করা হয় তাকে আসামি না দিয়ে, সাক্ষী বানিয়ে মামলা করা হয়েছে, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বলতেছেন প্রকৃত দোষীদেরকে আসামি না করে এলাকার হত দরিদ্র নিরীহ মানুষদের আসামি করে দমদমীয়া ক্যাম্পের বিওপির সুবেদার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন, নং-০৯ তারিখ-০৭/০১/২৫ । মামলার আসামীরা হলেন ১। ফারুক মিয়া(৩২) , ২। কামাল মিয়া (৩০), ৩। মাসুক মিয়া (৩৭), ৪। মো: সোহেল মিয়া(২২), ৫। আবুল মিয়া (৫২), ৬। মো : আয়েছ (২৮), ৭। আনোয়ার (২৯), ৮। মো: ফারুক মিয়া(৪৫), ৯।মো: কাছির মিয়া (২৮), ১০। মো : আবুল মিয়া (২৫) ,১১। মো: সালমান (২২), ১২। মো:: রুহুর মিয়া (২৫) , ১৭। মো: খলিল মিয়া (৪৪), ১৮। মো: মনির উদ্দিন (৩৫)সহ অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জন।
এই আসামিদের মধ্যে অনেক জন আছে এই হামলার সাথে জড়িত নেই এমন অনেক সাধারন মানুষ কে আসামী করার প্রতিবাদে মামলা থেকে অব্যাহতির দাবিতে এবং তদন্তপূর্বক প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা। সোমবার ( ১৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টায় উপজেলার পাহাড় তলী গ্রামের প্রধান সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলু মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,জয়দুল হোসেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা দুদ মিয়া,বিউটি বেগম,চকিনা বেগম,রাসিয়া বেগম,শারমিন বেগম সহ আরো অনেকে।
কিন্তু দুঃখজনক ঘটনা হলো আজ ২২/০১/২০২৫
তারিক বিজিবির সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে ৬ তারিক আজ ১৮ দিন হয়ে গেল কিন্তু এ মামলার কোন সঠিক তদন্ত করা হয় নাই,
এদিকে বিজিবির সদস্যের উপর হামলার সাথে জড়িত নেই এমন অনেক জন আছে আসামি করা
হয়েছে তাদের পরিবারগুলো দিনরাত চোখের পানি ফেলতেছেন আর কাঁদতেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা মামলার ১৪ নাম্বার আসামি লেইছ উদ্দিনের
বড় ভাই ইসমাইলের সাথে কথা বললে উনি জানান আমরা খুব চিন্তিত আমার ছোট ভাই এ ঘটনার কিছুই জানেনা, কিন্তু ষড়যন্ত্র করে কে বা কারা আমার ভাইয়ের নাম মামলায় ঢুকিয়ে দিয়েছে , এরকম অনেক আছে যারা ৬ তারিকের বিজিবির উপর হামলার ঘটনা জানেন ও না তাদের কে ও ষড়যন্ত্র করে আসামি করা হয়েছে, এদের মধ্যে বেশিরভাগ হতদরিদ্র নিরীহ ফ্যামিলির মানুষ তারা খুব কষ্টে সময় পার করতেছেন , আমাদের একটাই চাওয়া আমরা আইন মান্যকরি আমরা চাই খুব দ্রুত এ মামলার সঠিক তদন্ত করে আমার ভাই এবং এই হামলার সাথে যারা জড়িত নেই তাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হোক, এবং সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের কে আইনের আওতায় নিয়ে বিচার করা হোক।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় এলাকার স্থানীয় মুরুব্বিরা
বলেন,বিওপির সুবেদার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে
থানায় যে মামলা করেছেন এটি একটি ষড়যন্ত্র মূলক মামলা হয়েছে এ ঘটনার সাথে জড়িত যারা তাদেরকে আসামি না করে এলাকার নিরীহ মানুষদের আসামি করা হয়েছে যাদের ৬ তারিকের বিজিবির সাথে হাতাহাতি হওয়ার ঘটনার সাথে জড়িত নেই যারা তারা হয়ে গেছে আসামি। আর মূল আসামি তারা কেউই এই তালিকায় নেই এটি একটি চক্রান্ত মুলক মামলা এলাকার নিরীহ মানুষদের ফাঁসানো হয়েছে আমাদের এলাকাবাসীর একটাই চাওয়া এই মামলা সঠিকভাবে তদন্ত করা হোক এবং এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত নেই যারা তাদেরকে দ্রুত অব্যাহাতি দেওয়া হোক এবং প্রকৃত দোষীদের কে বের করে আসামি করে আইনের আওতায় আনা হোক।
১৩ তারিকের মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা বলেন,বিজিবি মামলায় যে ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১২ থেকে ১৪ জন নিরীহ পরিবারের লোকজন দিন আনে দিন খায়,চোরাকারবারের সাথে তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। তদন্তপূর্বক প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে নির্দোষীদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি তাদের।তারা বলেন প্রকৃত অনেক চোরাকারবারী মামলার এজহার থেকে বাদ পড়েছে আর সমাজের কিছু স্বার্থন্বেষী মহলের তদবিরে নির্দোষী অনেকে কে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বর্তমানে মামলার ভয়ে পুরুষ শূন্য গ্রাম, চোখের পানি ফেলে সময় পার করতেছে পরিবারগুলো।
এবং অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,গত ৬ জানুয়ারি গভীর রাতে দমদমীয়া সীমান্তে গরু চোরাকারবারিদের হামলায় বিজিবি সদস্য মাসুম বিল্লাহ আহত হন। এ ঘটনায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৪০ থেকে ৫০ জনের নাম অজ্ঞাত করে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা করা হয়। সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায় যার গরুর জন্য এই মর্মান্তিক বিজিবির সাতে ঘটনা ঘটেছে তাকে আসামি না করে অন্যদেরকে আসামি করা হয়েছে , আর সেই গরুর মালিক কে সাক্ষী করা হয়েছে এটা নিঃসন্দেহে একটি ষড়যন্ত্র মূলক মামলা হয়েছে মামলার এজহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিওিতে গত ৬ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩ টার দিকে গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দি ইউনিয়নে দমদমীয়া সীমান্তে ভীতরগুল নামক স্থানে অভিযান চালায় বিজিবি।
এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বলেন এই মামলা দূরত্ব সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত আসামিদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক, এবং যারা এই হামলার সাথে জড়িত না তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক, এই নিরীহ ফ্যামিলির মানুষ খুব কষ্টের জীবনযাপন পার করছেন
তারা খেটে খাওয়া মানুষ এই মামলার জন্য পুরুষশূন্য গ্রামে মহিলারা অনাহার সময় পার করতেছে , তাই এলাকাবাসীদেরদাবি দ্রুত এ মামলার সঠিক তদন্ত করা হোক।