আহসান উল্লাহ রাজু স্টাফ রিপোর্টার (কুমিল্লা)
লালমাই উপজেলার বাগমারা দঃ ইউনিয়ন পশ্চিম অশ্বত্থতলা গ্রামের সাফ কবলা দলিলকৃত জমির প্রকৃত মালিকানার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেন নজরুল ইসলাম।
১৮মে (রবিবার) সকাল ৯টায় পশ্চিম অশ্বত্থতলা গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিদের অংশগ্রহনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লালমাই উপজেলাধীন উত্তর অশ্বত্থতলা মৌজাস্থ বিএস খতিয়ান নং ১১৭দাগ নং ১১৩৭এর ১৮শতক বসত বাড়ির ভূমি নজরুল ইসলামের বাবা জীবিত থাকাকালীন বিবাদী গনের পিতা কৃষ্ণ চন্দ্র পালের জমি ক্রয় সুত্রে ভোগদখল করেন। নজরুল ইসলামের বাবার মৃত্যুর পূর্বে তাহার মা জাহানারা বেগম পরবর্তীতে কৃষ্ণ চন্দ্র পাল উক্ত ভূমি দাগ নং ভূল হওয়ায়, ভূল সংশোধন করে ১৫.৩.২০১১ ইং সালে দলিল নং ৩৭৩২ পূনরায় নজরুল ইসলামের মা জাহানারা বেগম কে দলিল প্রদান করেন।উক্ত সম্পত্তি থেকে নজরুল ইসলামকে ৬শতক ওনার ভাই মজিবুর রহমানকে ৬শতক, নজরুল ইসলামের মা জাহানারা বেগম ও বোন নাসিমা বেগম মিলে অবশিষ্ট ৬শতক জমি জৈনক মধু পালের নিকট বিক্রি করে দেন। পরবর্তীতে মজিবুর রহমান থেকে ৬.৮০শতক ও জৈনক মধু পাল থেকে ৬শতক, ক্রয় সুত্রে মোট ১৮.৮০শতক প্রকৃত মালিক হিসেবে নজরুল ইসলাম।
উক্ত জমির চৌহদ্দি সরকারী আমিন সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে খুটি স্থাপন করেন নজরুল ইসলাম। উক্ত ভূমিতে টিনশেড বিল্ডিং নির্মান করার সময় বিবাদীগন গায়েরজোড়ে ৫/৬ জন ব্যক্তি মিলে কাজে বাধা প্রদান করেন। এবং মারধর সহ প্রাননাশের হুমকি প্রদান করেন এবং ১নং ও ২নং বিবাদী নজরুল ইসলামের স্ত্রী রাজিয়া বেগমের নিকট ১লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ করেন।এব্যাপারে ফতেপুর গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে ১/ মোঃ সোলেমান (৪২),২/ পশ্চিম অশ্বত্থতলা মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মনা মিয়া(৪৮) ৩/মৃত ফজলুল হকের ছেলে আলী আকবর(৭৫),৪/মৃত কৃষ্ণ পালের ছেলে বাবুল চন্দ্র (৪৮),৫/ গোপাল চন্দ্র পাল (৪৫) কে বিবাদী করে নজরুল ইসলামের স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৪২) বাদী হয়ে লালমাই থানার অফিসার
ইনচার্জ বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন ১৬ মে ২০২৫, উক্ত জমির প্রকৃত মালিক নজরুল ইসলামকে জমির মালিকানা ভোগদখলের সহযোগিতার জন্য এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গ্রামবাসী লালমাই উপজেলা প্রশাসন ও লালমাই থানা সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তেরর নিকট দাবি জানান।
লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহ আলম বলেন, বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে গোপাল চন্দ্র পাল আদালতে ১৪৫ ধারা মামলা করেছেন কিন্তু শুক্রবার সকালে নজরুল ইসলাম সেই জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মান করতে গেলে উত্তেজনা বাড়ে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট না করতে বলা হয়েছে।