“মানবতা প্রদর্শনের মাধ্যমে ঐশী প্রেম অর্জন করাই ঈদে মিলাদুন্নবী (স.)-এর মূল তাৎপর্য।“ বিশিষ্ট মাইজভাণ্ডারী গবেষক ও লেখক জনাব মোহাম্মদ শাহেদ আলী চৌধুরী বলেছেন, “প্রিয় রাসুল (স.) এর পবিত্র সত্তা আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত। ইহকাল ও পরকালে তাঁরই রহমতের বারিধারা প্রবাহিত। তাঁর গুণগান, শান-মান, মর্যাদা ও মাহাত্ম্য স্মরণ করা এবং আলোচনা করা আল্লাহর আনুগত্যের নামান্তর।”
আশেকানে হক ভাণ্ডারী, শোকর এ মওলা মঞ্জিলের ব্যবস্থাপনায় গত ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ইং, শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হারুয়ালছড়িতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) ও আশেকানে হক ভাণ্ডারী শোকর এ মওলা মঞ্জিলের বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা, মিলাদ ও জিকিরে সেমা মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ আজমের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ শাহরিয়ার আসিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন মাদ্রাসা-এ-গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারীর আরবি প্রভাষক মাওলানা মুজিবুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি, ফটিকছড়ি খ জোনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক মাস্টার আহমদ হোসেন, মাহবুব সওদাগর ও মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব মোহাম্মদ শাহেদ আলী চৌধুরী মাইজভাণ্ডারী আরও বলেন, “আল্লাহর রাসুল (স.) এর আদর্শ ও শিক্ষা অনুসরণের মাধ্যমে মানবতাবোধ, ঐশী প্রেম এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার এক পবিত্র ও আধ্যাত্মিক উপলক্ষ। হুজুর গাউসুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.) মাইজভাণ্ডারীর দর্শন অনুসারে নবী (স.)-এর জীবন ও শিক্ষার মাধ্যমে আল্লাহর পথ অনুসরণ করা এবং মানবতার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান ও ভালোবাসা প্রদর্শনের মাধ্যমে ঐশী প্রেম অর্জন করাই ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) দিবসের মূল তাৎপর্য।
মাইজভাণ্ডারী দর্শন জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে নৈতিকতার ওপর ভিত্তি করে ঐক্যবদ্ধ করে এবং বিশ্বভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। এই দর্শন জাতিগত ও ধর্মীয় ভেদাভেদ নিরসন করে মানুষকে ভালোবাসা ও ভক্তির মাধ্যমে একতার পথে আহ্বান করে, যেখানে মূল লক্ষ্য থাকে মানবতার বিকাশ ও সত্য উপলব্ধির দিকে ধাবিত হওয়া। আর নিজেকে আত্মসমর্পণ না করলে মাইজভাণ্ডারী দর্শনের রহস্য বোঝা যাবে না।”
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক পূর্বকোণ-এর সাংবাদিক জনাব আলতাফ মিয়া এবং দৈনিক দেশ রূপান্তর-এর সাংবাদিক জনাব মোহাম্মদ রফিক।
আলোচনায় অংশ নেন শোকর এ মওলা মঞ্জিলের উপদেষ্টা সৈয়দ শফিউল আজিম সুমন, এস এম এমরান, সংগঠনের নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ ওমর ফারুক ও মোহাম্মদ সজীবুল হাসান চৌধুরী।
সভায় আগামী এক বছরের জন্য আশেকানে হক ভাণ্ডারী, শোকর এ মওলা মঞ্জিলের ৮ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি এবং ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়। মাইজভাণ্ডারী গবেষক ও লেখক জনাব মোহাম্মদ শাহেদ আলী চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টা, ব্যাংকার মুহাম্মদ আজম ও ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ইব্রাহিম পুনরায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।