
মীর দুলাল।। হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও গ্রামে আধিপত্যকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, হামলা, ভাঙচুর ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮ ঘটিকায় প্রায় তিন ঘণ্টা স্থায়ী সংঘর্ষে দুই পক্ষের অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন।
সংঘর্ষ চলাকালে হান্নান মিয়ার পক্ষের রাসেল মিয়া (৪৫) নিহত হন।
পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জের ইটনা–মিঠামইন আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরোধ চলছিল।
ওই আসনে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান মনোনয়ন পাওয়ার পর তাঁর সমর্থক কাকাইলছেও গ্রামের হান্নান মিয়া ফেসবুকে সক্রিয় প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন।
অন্যদিকে একই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ডিসি ও বিএনপি নেতা রহিম মোল্লার সমর্থকদের সঙ্গে তার অনুসারীদের বিরোধ আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
গতকাল বিকেলে হান্নান মিয়া সওদাগর পরিবারের মৃত এক সদস্যকে নিয়ে আক্রমণাত্মক ও অবমাননাকর স্ট্যাটাস দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায়।
বিষয়টি জানতে চাইতে গেলে হান্নান মিয়া এবং আল কোরআন সওদাগরের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।
পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। অভিযোগ রয়েছে, সংঘর্ষের সময় হান্নান মিয়ার অনুসারীরা আল কোরআন সওদাগরের দোকানে হামলা চালিয়ে ফ্রিজ, সাইকেল, মোবাইল ফোন, আসবাবপত্রসহ মূল্যবান সামগ্রী ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
একই সময়ে কুহিন সওদাগরের দোকানেও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তবে বাবুল মিয়া দাবি করেন, সওদাগর পরিবারের লোকজনই আগে তাদের ফার্নিচারের দোকানে হামলা চালিয়েছে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার তদন্ত ওসি বিশ্বজিৎ পাল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ মোতায়েন করেন। পরে সেনাবাহিনীও ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষকে নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা থাকলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।