1. live@khaborerkantho.com : খবরের কণ্ঠ : খবরের কণ্ঠ
  2. info@www.khaborerkantho.com : খবরের কণ্ঠ :
রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
গোয়াইনঘাটে যোগাযোগ সংকটে স্থবির উন্নয়ন,বিপর্যস্ত শিক্ষা-স্বাস্থ্য-পর্যটন! চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম ক্লোজড। গোয়াইনঘাটে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়কের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নিন্দা ও প্রতিবাদ। গোপালগঞ্জে শিশু অপহরণের ২৪ ঘণ্টায় উদ্ধার-আটক ১ সিলেট গার্ডেন সিটি রোটারি ক্লাবের তৃতীয় বোর্ড সভা ও সেবামূলক কার্যক্রম সম্পন্ন। নারা:গঞ্জে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে সেচ্ছায় রক্তদান কার্যক্রম অনুষ্ঠিত!  গোয়াইনঘাটে সামাজিক অবক্ষয় রোধে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত। নরসিংদীর শিবপুরে চাচাতো দুই ভাইকে হত্যার আসামি গ্রেফতার। পানছড়িতে বিজিবির অভিযানে অবৈধ চোরাই কাঠ আঠক নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি প্রার্থী ইলিয়াস আহমদের গণসংযোগ।

গোয়াইনঘাটে যোগাযোগ সংকটে স্থবির উন্নয়ন,বিপর্যস্ত শিক্ষা-স্বাস্থ্য-পর্যটন!

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১ বার পড়া হয়েছে

 

এ কে আজাদ সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি:||

সিলেটের উত্তর সীমান্তের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সম্ভাবনাময় উপজেলা গোয়াইনঘাট। অসংখ্য পর্যটন স্পট, সমৃদ্ধ কৃষি এবং প্রাণবন্ত জনপদ থাকা সত্ত্বেও উপজেলার সামগ্রিক উন্নয়ন আজ থমকে আছে একটিমাত্র কারণে দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা। কোটি কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ হলেও এলজিইডি প্রকল্পগুলোতে কার্যকর অগ্রগতি না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাত।

প্রতিদিন হাজারো পর্যটক আসার কথা থাকলেও ভাঙাচোরা রাস্তার কারণে পর্যটন স্পটগুলো এখন প্রায় শূন্য জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগুল,পান্তুমাই ঝরনা, খাসিয়া পুঞ্জি, নকশিয়া পুঞ্জি, লামাপুঞ্জি, জাফলং চা বাগান, জাফলং মায়ামতি ঝরনা সহ
অসংখ্য পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলায়। কিন্তু দুর্বল সড়ক যোগাযোগের কারণে পর্যটকরা সহজে আসা-যাওয়া করতে পারছেনা। ফলে অনেক স্পট আজ প্রায় পর্যটকশূন্য। পর্যটননির্ভর অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে, ক্ষতির মুখে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্য ও হাজারো মানুষের জীবিকা।

যোগাযোগ ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে উপজেলার বহু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। শিক্ষকরা দূরবর্তী ও দুর্গম এলাকায় যোগদান করতে চান না। অনেক স্কুল কার্যত শিক্ষকশূন্য অবস্থায় চলছে। শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন—
আমাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে, কিন্তু শিক্ষক নেই। শিক্ষা কিভাবে হবে?

একই কারণে গোয়াইনঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও রয়েছে চিকিৎসক সংকট। বর্তমানে অনেক সময় দেখা যায় নার্স দিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমারজেন্সি চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে,ডাক্তার সংকটের কারণে, চিকিৎসকরা নিয়োগ পেলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে অনেকে যোগদান করতে চান না ফলে সাধারণ মানুষ ন্যূনতম স্বাস্থ্যসেবা থেকেও বঞ্চিত। জরুরি সেবার প্রয়োজন হলে রোগীদের সিলেট শহরে নিয়ে যেতে হয়, যা সময়সাপেক্ষ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে।

গোয়াইনঘাট উপজেলায় প্রায় সবগুলো এলজিইডি প্রকল্পে রয়েছে প্রায় আড়াইশো কোটি টাকার বেশি বাজেট। কিন্তু বহু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে রেখে দিয়েছেন এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা বেহাল দশা হয়ে আছে মানুষকে যাতায়াত করতে খুবই কষ্ট করতেছে কিন্তু একাধারী প্রতিষ্ঠান কোনভাবেই কাজ শেষ করছে না।

বিশেষ করে সালুটিকর-গোয়াইনঘাট প্রধান সড়কে কাজে নিয়ম ও গাফিলতির কারণে প্রকল্পের টেন্ডার পর্যন্ত বাতিল হয়েছে। এখন দ্রুত নতুন টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে গোয়াইনঘাট-সোনার হাট রোডে কাজ শুরু পরেই বন্ধ করে রেখেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান
এখন এই রাস্তা যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

তোয়াকুল-খাগাইল রাস্তার একই অবস্থা
কাজ শুরু করে রাস্তা করে কাজ বন্ধ করে রেখে দিয়েছি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান,এখন ওই রোড যোগাযোগের অনুপযোগী হয়ে আছে।

হাতির পারা-ফতেপুর রোডের একই অবস্থা দীর্ঘদিন থেকে হচ্ছে না কোন কাজ অথচ বাজেট আছে ঠিকই, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে গাবতীর কারণ ভোগান্তিতে এলাকাবাস।

হাদারপার -কোম্পানীগঞ্জের রোডে কাজে হচ্ছে বিভিন্ন রকম অনিয়ম আরসিসি ডালায় কাজ একদিকে হচ্ছে অন্যদিকে রোডে রোদে দিচ্ছে একাধিক ফাটল দেখার কেউ নাই।

উপজেলার ১নং রুস্তমপুর,ও ৪নং লেঙ্গুরা ইউনিয়নের গ্রাম গুলোতে জমিনে দেখা গেল প্রায় ৮০% রাস্তাঘাট বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে প্রতিরা রাস্তা ভাঙ্গা কাঁদা মাখা বাচ্চারা স্কুল মসজিদ মাদ্রাসায় যাতায়াত করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে তাদের, চেয়ারম্যান মেম্বাররা ও ব্যর্থ!

স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের মতে, যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক হলে পর্যটকরা নির্বিঘ্নে আসা-যাওয়া করতে পারবেন, অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।

শিক্ষকরা যোগদান করবেন, শিক্ষার মান বাড়বে।
চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থাকবেন, মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পাবে। শিক্ষার্থীরা নিরাপদে কলেজে যেতে পারবে, দুর্ঘটনা কমবে। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়বে।

এর জন্য গোয়াইনঘাটের উন্নয়ন আর দেরি নয় এমনটাই বলছেন স্থানীয়রা। তারা মনে করেন, দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং দ্রুত কাজের বাস্তবায়ন নিশ্চিত হলে গোয়াইনঘাটকে সহজেই একটি উন্নয়নের রোল মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

এলাকাবাসীর প্রত্যাশা সরকার দ্রুত নজরদারি বাড়িয়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করবে, যাতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে গোয়াইনঘাট এগিয়ে যায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পর্যটনে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট