1. live@khaborerkantho.com : খবরের কণ্ঠ : খবরের কণ্ঠ
  2. info@www.khaborerkantho.com : খবরের কণ্ঠ :
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
কোম্পানীগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের ঈদ পুনর্মিলনী উৎসব অনুষ্ঠিত হবিগঞ্জে ১৮ জুন উপলক্ষে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উদযাপন!  আজমিরীগঞ্জে জমি নিয়ে সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত অন্তত ২০ জন শিবপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী  অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার৷ ঝিনাইদহ শৈলকুপায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ!  বিজয়নগরে দেশে আসা প্রবাসীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পালিত। গোয়াইনঘাটের নদী অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিলেন-আজমল হোসেন! অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার ঘোষণা! নরসিংদী জেলা মানবাধিকার কমিশন এর উদ্যোগে নৌকা ভ্রমণ।

ভালো কাজের আদেশ কর, খারাপ কাজে নিষেধ কর

মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০২০
  • ৩৬৮ বার পড়া হয়েছে

জাহেলিয়াতের ঘুটঘুটে অন্ধকার থেকে মানুষকে চির আলোকিত পথ দেখিয়েছে হেরার আলোকময় গ্রন্থ আল কোরআন। ইতিহাস যাকে আইয়ামে জাহেলিয়া বা ঘোর অন্ধকারের সময় বলে উল্লেখ করেছে, যে সময়ের মানুষ সবচেয়ে বর্বর-নিষ্ঠুর পাষাণ ছিল, মহাগ্রন্থ কোরআনের ছোঁয়ায় সে সময় হয়ে গেল সোনালি সময়। মানুষ হয়ে গেল সোনালি মানুষ, জান্নাতি মানুষ।

আজকের আধুনিক পৃথিবীতে যে সময়ে আমরা দাঁড়িয়ে আছি, সে সময়ে আমাদের কাছে পবিত্র কোরআন ও সিরাতে রসুলের পুরোটাই হুবহু এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মওজুদ রয়েছে। আমাদের সময়কে বলা হয় পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে সুসভ্য এবং আধুনিক। কোরআন ও সিরাতের মণিমাণিক্যগুলো যেমন কাগজের বুকে এবং মানুষের ঠোঁটে রয়ে গেছে, বাস্তব জীবনে আসেনি; তেমনি আধুনিকতা-সভ্যতা ও আমাদের জীবনে বাস্তবায়িত হতে পারেনি। তা না হলে আজ যেদিকেই তাকাই সেদিকেই অন্যায়-অত্যাচার, জুলুম-নির্যাতন, সুদ-ঘুষ, দুর্নীতির সয়লাব কেন দেখতে পাব।

যে মানুষটি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলে, মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলে, বছরে বছরে হজ করে আসে, সুন্নতি লেবাস পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি আপলোড করে নিজেকে সাচ্চা মুসলমান পরিচয় দেয়, মানুষের কাছে ন্যায়ের প্রতীক হিসেবে খ্যাতি কুড়িয়েছে, যখনই প্রশাসন বা দুদক তাদের বিষয়ে তদন্তে নামে তখনই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে। দেখা যায় মাদকের বিরুদ্ধে বলা মানুষটিই মাদকসম্রাট, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলা মানুষটি সবচেয়ে বড় গডফাদার! কেন এ রকম হচ্ছে?

এর কারণ হলো, মানুষ কোরআনের একটি নির্দেশ একেবারেই ভুলে গেছে অথবা ইচ্ছা করেই মানছে না। নির্দেশটি হলো, ‘ভালো কাজের আদেশ কর, আর খারাপ কাজে নিষেধ কর।’ কোরআনের অসংখ্য আয়াতে এবং রসুল (সা.)-এর অসংখ্য হাদিসে বলা হয়েছে মুমিনের অন্যতম কাজ এ দুটি।

আজ মুসলমানের কেউ একে ফতোয়া দেয়, ওকে ফতোয়া দেয়া, এর পেছনে লাগে, ওর পেছনে লাগে, এভাবেই গত ৫০০ বছর তারা কিছুটা ঘোরের পেছনে পড়ে ছিল এবং এখনো আছে। তারা যখন নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে ব্যস্ত তখন কোরআনের মৌলিক কাজ সৎ কাজের আদেশ অসৎ কাজের নিষেধ থেকে দূরে সরে পড়ে। অথচ এটিই সবচেয়ে বড় ইবাদত- ফরজ ইবাদত।

আজকের মুসলমানরা একে ইবাদত বলে ভাবতেও পারে না। একজন মুসলমান আজান হলে যেমন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য ছুটে যায় তেমনি কোনো অন্যায় দেখলেই সে আইনি উপায়ে তার প্রতিবাদ করবে, প্রতিরোধ করবে এবং ভালো কাজের প্রতি মানুষকে নানাভাবে উৎসাহ দেবে। অথচ এ যুগের মুসলমানদের মধ্যে ভালো কাজের আদেশ, অসৎ কাজের নিষেধ করতে দেখা যায় খুবই কম। ফলে অন্যায় এবং দুষ্কৃতকারী যারা তারা ভালোর মুখোশ পরে সুন্দরের মুখোশ পরে আমাদের সমাজে দাপিয়ে বেড়ায়।

কোরআনের একটি আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘আমি যখন কোনো জনগোষ্ঠীকে ধ্বংস করে দেওয়ার ইচ্ছা করি, তখন ওই জনগোষ্ঠীর নেতৃত্বের দায়িত্বে যারা আছে তাদের জালিম বানিয়ে দিই।’ একটি জনপদের নেতারা যখন জালিম-দুর্নীতিবাজ, সুদখোর-ঘুষখোর-হারামের প্রতি মোহিত হতে থাকে, তখন সাধারণ মানুষ তাকে অনুসরণ করবে এ কথা বলাই বাহুল্য।

আজ আমরা কোরআনে বলা ধ্বংসের শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছি কিনা তাও ভাবার সময় এসেছে। এ মুহূর্তে আল্লাহর দিকে ফিরে যাওয়া ছাড়া, মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনো পথ নেই। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের ক্ষমা করুন। রক্ষা করুন। সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করার তৌফিক দিন।

লেখক : মুফাসসিরে কোরআন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট