মোঃ হাবিবুল্লাহ।
পটুয়াখালী প্রতিনিধি।
১৭ অক্টোবর ২০২৪ ইং।
পটুয়াখালী পৌর নিউ মার্কেট, পুরাতন বাজার, কলাতলা বাজার এবং হেতালিয়া বাধঘাটসহ জেলার সকল বাজারে গত এক সপ্তাহে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। ফলে সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। দাম বাড়ার কারণে ক্রেতাদের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এ পরিস্থিতিতে নাভিশ্বাস অবস্থা পটুয়াখালীর নিম্ন ও মধ্যবিত্তের।
১৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সকালে স্থানীয় বাজারগুলো ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইদ ইব্রাহিম বলেন, ‘কাঁচামরিচের দাম কিনতে এসে মাথা ঘুরে যায়। ২০০ গ্রাম কাঁচামরিচ কিনেছি ১৪০ টাকায়। আয়ের সঙ্গে খরচের হিসাব মিলাতে পারছি না।
পটুয়াখালীর পৌর নিউ মার্কেটে বিভিন্ন সবজির দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। কেজিপ্রতি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়, আলু ৬০ টাকায়, মিষ্টিকুমড়া ৬০ টাকায়, লাউ প্রতি পিস ১০০ থেকে ১৩০ টাকায়, টমেটো ৩০০ টাকায়, করলা ১০০ টাকায়, বরবটি ১২০ টাকায়, লাউ শাক ৫০ টাকায়, কাঁকরোল ১০০ টাকায়, গাজর ২০০ টাকায়, বেগুন ১৩০ টাকায় এবং চিচিঙ্গা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজির দামও প্রায় ১০০ টাকায় পৌঁছে গেছে।
পটুয়াখালী শহরের গৃহবধূ শাহিদা বেগম বলেন, ‘কিছু দিনের ব্যবধানে সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। সরকার যেন এ বিষয়ে নজর দেয়।’
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বর্ষার কারণে সবজি উৎপাদনে ভাটা পড়েছে এবং তাদেরও পাইকারি বেশি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে। ফলে বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাজারে মাছের সরবরাহ কমে গেছে।
এদিকে, মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় পটুয়াখালীর বাজারে মাছের সরবরাহ কমে গেছে। এতে স্থানীয় মাছের দামও বেড়ে গেছে। ক্রেতা মো. ওরম ফারুক বলেন, ‘মাছের দাম এতই বেড়ে গেলে যে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য মাছ খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম জানান, মা ইলিশ রক্ষায় ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ।
এদিকে, বাজারদর নিয়ন্ত্রণের জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বাজার মনিটরিং টাস্কফোর্স গঠন করেছে। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, ‘বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা। পটুয়াখালীতে সিন্ডিকেট চলবে না। প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।