মীর দুলাল বিশেষ প্রতিবেদন!
শেরপুর সদরে মুর্শিদপুর দোজা পীরের দরবারে আবারও হামলা, আগুন, লুটের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে প্রথম দফা হামলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। সৃষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করলে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় ভাঙচুর, আগুন, লুটের পর থমথমে হয়ে পড়ে আশপাশের এলাকা।
নিরাপত্তায় সেনা, র্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও ব্যাটেলিয়ন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। শহরজুড়ে বাড়ানো হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।
শুক্রবার দুপুর থেকে শহরের শেরীব্রিজ মোড়, কুসুমহাটি মোড় ও লছমনপুর এলাকাসহ শহর জুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই শেরপুর সদরের লছমনপুর গ্রামের মুর্শিদপুর খাজা বদরুদ্দোজা হায়দার ওরফে দোজা পীরের দরবার বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিল কিছু মানুষ। এরই মধ্যে ২৬ নভেম্বর ভোরে পীরের দরবারে হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয় জনতা ও দরবারের মুরিদদের মধ্যে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু ও অন্তত ১৩ জন আহত হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় স্থানীয় একটি কলেজ মাঠে নিহতের জানাজার পর কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা ওই পীরের আস্তানায় আবারও হামলা চালায়।
এসময় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয় পীরের আস্তানা। পাশাপাশি পীরের বাড়ি থাকা সব মালামাল এমনকি গরু, ছাগলও লুট করে জনতা।
এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার লং মার্চের ঘোষণা দেন পীরের অনুসারীরা। পরে সেই লং মার্চ প্রতিরোধের ঘোষণা দেয় একটি পক্ষ।
এতে উত্তেজনা দেখা দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।
ময়মনসিংহ ৩৯ বিজিবির সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, শেরপুরের আইনশৃঙ্খলা যেন স্বাভাবিক রাখা যায় সেই উদ্দেশে আমরা এখানে এসেছি।