ঝিনাইদহ(কালীগঞ্জ)প্রতিনিধি। মোঃ মাহাবুবুর রহমান।
শীতের জীর্ণতা সরিয়ে ফুলে ফুলে সেজে উঠেছে প্রকৃতি। গাছে গাছে গজিয়েছে নতুন কুড়ি।
বসন্ত, ভালোবাসা দিবস ও মাতৃভাষা দিবস উদযাপন ঘিরে ফুলের বাগানে ভিড় জমিয়েছেন ব্যবসায়ীকরা।
তাদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের বালিয়া ডাঙ্গা গ্রামের ফুলের বাগান। জমে উঠেছে বেচাকেনা।
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, বাগানে ফুটেছে নানা রঙের ফুল। বাতাসে দোল খেয়ে ফুলগুলো যেন আমন্ত্রণ জানাচ্ছে প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করার। তাই দিনভর বাগানে ভিড় করেছেন দর্শনার্থীরা। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, পয়লা ফাগুন এরপর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
তিন দিবসে বাজার ধরতে ব্যস্ত ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীরা।
প্রকৃতিতে গরমের আভাস।
তাই গোলাপের প্রস্ফুটন ঠেকাতে গোলাপ-কলিতে পরানো হচ্ছে ক্যাপ। এরইমধ্যে দাম বাড়তে শুরু করেছে গোলাপসহ সব ফুলের।
তিন দিবস- বসন্ত উৎসব, ভালোবাসা দিবস আর মাতৃভাষা দিবস ঘিরে প্রায় ৬ শত কোটি টাকার ফুল বেচাকেনার প্রত্যাশায় চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
সেই সাথে ফুলচাষীরা ক্ষেতের পরচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলার গ্রাম থেকে মেইন বাসস্ট্যান্ডে বিভিন্ন প্রকার ফুল ভ্যানে করে নিয়ে এসে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠায়ে দেই।
দেখা যাচ্ছে তাদের কারও কাছে গোলাপ, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা; কারও কাছে জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকাসহ বাহারি সব ফুল। দূরদূরান্ত থেকে আসা ব্যাপারীরা সেই ফুল কিনছেন। ফুল বেচাকেনা বেড়েছে।
গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জারবেরা, চন্দ্র মল্লিকা, গাঁদা ফুলের দাম কিছুটা কম হলেও ঊর্ধ্বমুখী গোলাপের দাম। মাত্র কয়েকদিন আগেও যে গোলাপ বিক্রি হয়েছে ৫ টাকায়, সেই গোলাপ এখন বিক্রি হচ্ছে ১০/১৫ টাকা দরে। চাষিদের দাবি,ভালোবাসা, বসন্ত ও মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে বাড়তে শুরু করেছে ফুলের দাম।