তাইয়েব ইবনে ফারুকী, ময়মনসিংহ
ভালুকা পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও সৌন্দর্যবর্ধনের লক্ষ্যে ৭ থেকে ৮টি নির্দিষ্ট স্থানে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন চা-স্টল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। পরিকল্পনাটি অনেকটা ফুড পার্কের মতো, যাতে করে যাত্রী ও সাধারণ পথচারীদের জন্য পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বিশ্রাম ও চা পান নিশ্চিত করা যায়।
এই চা স্টলগুলো এমনভাবে বসানোর কথা ছিল, যাতে যানজট সৃষ্টি না হয় এবং শহরের সার্বিক শৃঙ্খলায় কোনো বিঘ্ন না ঘটে। প্রতিটি স্টল নির্দিষ্ট নকশায় তৈরি করা হতো এবং এগুলোর নাম ও ছবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরবর্তী সময়ে প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল।
তবে, স্টল নির্ধারণের প্রক্রিয়ায় কিছু পুরনো দোকানদার আপত্তি জানান। তাদের দাবি ছিল, এসব নতুন স্টল তাদের ব্যবসার ক্ষতি করবে। অথচ বাস্তবতা হলো, অতীতে এসব স্থানে দোকান ছিল এবং বর্তমানে অনিয়মিতভাবে চা দোকান আবার বসানো হয়েছে। যার পেছনে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে — কিছু দোকানদার প্রতিদিন ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন বলে জানা গেছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা বিনা খরচে আধুনিক ও শৃঙ্খলাবদ্ধ চা স্টলের ব্যবস্থা করতে চেয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়িক স্বার্থে কিছু গোষ্ঠী আপত্তি জানায় এবং প্রশাসনও তখন জোর করেনি, কারণ তারা বুঝতে পেরেছিল, এই ব্যবসাগুলো যেভাবেই হোক বসবেই — এবং সেটাই বাস্তবে ঘটেছে। এখন যাদের আপত্তি ছিল, তাদের দোকানের সামনেই আবার ২-৩টি করে চা দোকান বসে গেছে।
উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, “আমাদের কাজ শুধু চা দোকান নয়, বাসস্ট্যান্ড, সড়ক-মার্গ, পরিবেশ, শিক্ষা, চিকিৎসা, মাদকবিরোধী অভিযান, উন্নয়ন প্রকল্পসহ অনেক কিছু। সব কাজের মধ্যে শুধুমাত্র একটি জায়গায় অতিরিক্ত সময় ব্যয় করলে অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “অনেকবার অনুরোধ করা হয়েছে, প্রয়োজনে বল প্রয়োগও করা হয়েছে। এরপর থেকে আর কাউকে নমনীয়ভাবে বোঝানো হবে না। সবাইকে আইন মেনেই চলতে হবে। যেহেতু কেউ কর্মহীন হচ্ছেন না, তাই আর কোনো আপোষ করা হবে না।”