
পলাশ বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।
গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়া উপজেলাধীন কলাবাড়ী ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামে বিশ্বেশ্বর মজুমদারের বাড়ীসংলগ্ন সরকারি খালে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বিআরডিবি অংশীদারিত্বমূলক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প- ৩ এর আওতায় একটি কাঠের সাকো নির্মিত হয়। কালীপদ মজুমদার ও বিশ্বেশ্বর মজুমদারের সমান অংশীদারিত্বে দুই ভাইয়ের দুটি পরিবার ও সংশ্লিষ্ট জনতা সাকোটির সুবিধাভোগী। দুই ভাইয়ের মধ্যে জীবিত বিশ্বেশ্বর মজুমদার । তাঁর দুই ছেলে চাকুরী জনিত কারণে কর্মস্থলে অবস্থান করেন। সম্প্রতি কালীপদ মজুমদারের ছোট ছেলে বিদ্যুৎ মজুমদার (বিপুল) ১১৭ নং নলুয়া ফিডার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাকোটি সংস্কারের নাম করে তার কাকা বিশ্বেশ্বর মজুমদারকে ওই সাকো ব্যবহার না করার হুমকি প্রদর্শন করে। এতে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং এক পর্যায়ে এলাকাবাসী প্রবীণ বিশ্বেশ্বর মজুমদারের জন্য আলাদা একটি সাকো নির্মাণ করে দেবার পরিকল্পনা করলে ঐ প্রধান শিক্ষক বিদ্যুৎ মজুমদার (বিপুল) স্থানীয় জনতা যাতে সাকো নির্মাণ না করতে পারে , তার জন্য নানা হুমকি প্রদান করে। এতে স্থানীয় ইউপি সদস্য এলাকাবাসীসহ স্থানীয় গণ্য-মান্য ব্যক্তিবর্গ একাট্টা হয়ে সাকো নির্মাণের যাবতীয় সামগ্রী জোগাড় করে আগামী ১৪ নভেম্বর শুক্রবার একটি নতুন সাকো নির্মাণের দিন ধার্য করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ মজুমদার (বিপুল) জনমত উপেক্ষা করে গায়ের জোরে সাকোটি নিজের নামে নামফলক
ও নিয়ন্ত্রণে নিয়ে একক সুবিধা ভোগ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। দ্রুত প্রশাসনিক
ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে, হতাহতের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে।